অনলাইন স্ট্রিমিং সার্ভিস দেয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেটফ্লিক্স ইনকরপোরেশন। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী থিয়েটার ও সিনেমা হলগুলো বন্ধ থাকলে একচেটিয়া ব্যবসা করে প্রতিষ্ঠানটি। এই সময়েই মুক্তি পায় প্ল্যাটফর্মটির সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ স্কুইড গেম। তবে গত বছরের শেষ দিক থেকে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাওয়া নেটফ্লিক্সের অগ্রযাত্রায় কিছুটা ভাটা পড়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়ালস্ট্রিটের পূর্বাভাস অনুযায়ী সাবস্ক্রাইবারের লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের শেষ দিকে পূরণ করতে পারেনি নেটফ্লিক্স। কারণ আমাজন প্রাইম, এইচবিও, ওয়াল্ট ডিজনির মতো প্রতিদ্বন্দী স্ট্রিমিং সেবাগুলো নেটফ্লিক্সের কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে।
তারকাসমৃদ্ধ ও ব্যয়বহুল চলচ্চিত্র রেড নোটিস ও ডোন্ট লুক আপ এবং জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘দ্য উইচার’-এর দ্বিতীয় কিস্তি মুক্তি পেলেও ওয়ালস্ট্রিট ফোরকাস্টের সাবস্ক্রাইবার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি তারা।
রেফিনিটিভ আইবিইএস ডাটার আলোকে এনালিস্টদের ধারণা ছিল অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে নেটফ্লিক্সে যুক্ত হবে ৮৪ লাখ সাবস্ক্রাইবার। কিন্তু এ সময়ে ৮৩ লাখ সাবস্ক্রাইবার যুক্ত হয়েছে।
লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার ফলে নেটফ্লিক্সের শেয়ারের দাম ১০ শতাংশ কমে গেছে।
যদিও গত বছরে নেটফ্লিক্স তার বৃহত্তম বাজার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় দাম বাড়িয়েছে কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন দেশ দুটিতে এক অর্থে প্রবৃদ্ধি স্থবির। তাই প্রতিষ্ঠানটি এখন এর বাইরেও প্রবৃদ্ধি খুঁজছে।
নেটফ্লিক্স যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি অনলাইন স্ট্রিমিং সার্ভিস। বিশ্বের অনেক দেশের কনটেন্ট অনলাইনে মুক্তি দিয়ে থাকে তারা। নারকোস, স্কুইড গেম, দ্য উইচার, মানি হাইস্টের মতো জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ মুক্তি দিয়েছে তারা। ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও অনলাইন স্ট্রিমিংয়ের জগতে আসে ২০১৩ সালে হাউস অফ কার্ডস মুক্তি দেয়ার মাধ্যমে। এরপর থেকেই সিনেমা ও টেলিভিশন ধারাবাহিক উভয়ের তৈরিতে ব্যাপকভাবে বিস্তৃতি লাভ করে, যেখানে তারা তাদের ‘নেটফ্লিক্স অরিজিনাল’ শীর্ষক নিজস্ব ওয়েব সিরিজ ও সিনেমা অনলাইন লাইব্রেরির মাধ্যমে প্রদান করে থাকে।
বিশ্বব্যাপী কোম্পানির বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা ২২ কোটি ১৮ লাখ।