বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আলিবাবার ক্লাউডসেবায় যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা শঙ্কা

  •    
  • ১৯ জানুয়ারি, ২০২২ ১০:১৯

গার্টনারের মতে, যদি যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকরা সত্যিই দেশটির প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলিবাবার লেনদেন বন্ধ করে দেয় তাহলে সামগ্রিকভাবেই আলিবাবার সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

একবিংশ শতাব্দীতে তথ্যই এখন অনেক বড় সম্পদ। সেই তথ্য নিয়েই এখন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। দুই দেশই চায় না এক দেশের জনগণের তথ্য আরেক দেশের কাছে হস্তগত হোক। সে কারণে চীন নিজের দেশে ফেসবুক, গুগলের মতো যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। বিগত ট্রাম্প প্রশাসনের সময় থেকে একই পথে হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রও।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য আলিবাবার ক্লাউডসেবা কোনো ধরনের হুমকি সৃষ্টি করছে কি না তা খতিয়ে দেখছে বাইডেন প্রশাসন।

চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো কিভাবে কাজ করে সেই বিষয় দেশটির গুরুত্বপূর্ণ তিন ব্যক্তিকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। তবে সেই তিন ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।

আলিবাবার ক্লাউড ব্যবসা তদন্ত করে দেখার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দেশটির বাণিজ্য বিভাগের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা অফিসকে।

এই অফিসটি সাবেক ট্রাম্প প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল, যাতে দেশটির প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রগুলো বিশেষ করে চীন, রাশিয়া, কিউবা, ইরান, উত্তর কোরিয়া এবং ভেনিজুয়েলার মতো রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে দেশটির প্রতিষ্ঠানগুলোর লেনদেনে হস্তক্ষেপ করা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো কিভাবে দেখভাল করছে, গ্রাহকের আইপি এড্রেস সংরক্ষণ হচ্ছে কি না, চীন সরকার সেই তথ্যভান্ডারে হস্তক্ষেপ করতে পারে কি না, তা দেখাই এই তদন্তের উদ্দেশ্য।

দেশটির কর্তৃপক্ষ ক্লাউড ব্যবসায় ঝুঁকি কমিয়ে আনতে প্রতিষ্ঠানটিকে চাপ প্রয়োগ করতে চায়। এমন বিষয় সামনে আসার পরই শেয়ারবাজারে আলিবাবার দর ৩ শতাংশ কমে যায়।

যুক্তরাষ্ট্রে আলিবাবার ক্লাউড ব্যবসার আকার মাত্র ৫০ মিলিয়ন ডলারের, কিন্তু স্টামফোর্ডভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের মতে, যদি যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকরা সত্যিই দেশটির প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলিবাবার লেনদেন বন্ধ করে দেয় তাহলে সামগ্রিকভাবেই আলিবাবার সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাসকে অনুরোধ করা হলেও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। এমনকি আলিবাবাও কোনো মন্তব্য করেনি।

তবে এমন পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসার ক্ষেত্রে আলিবাবাকে এড়িয়ে চলতে পারে।

আলিবাবা পৃথিবীর চতুর্থ বৃহৎ ক্লাউডসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্ড মোটর কোম্পানি, আইবিএমের রেডহ্যাটের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এর ব্যাবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে।

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রযুক্তি উত্তেজনা শুরু হওয়ার আগে আলিবাবা ক্লাউডের লক্ষ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের বাজার ধরা। ২০১৫ সালে চীনের বাইরে প্রথমবারের মতো তারা সিলিকন ভ্যালিতে কম্পিউটিং হাব স্থাপন করে। যাতে আমাজন, মাইক্রোসফট ও আলফাবেটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা যায়। পরবর্তী ভার্জিনিয়াতে একটি ডাটা সেন্টারও প্রতিষ্ঠা করে আলিবাবা।

ক্লাউডসেবা কী?

ক্লাউডসেবা হলো ইন্টারনেট কাজে লাগিয়ে ভিন্ন কোনো স্থানে নিজের প্রয়োজনীয় ডাটা ও তথ্য সংরক্ষণ করে রাখার সেবা। অনেক ক্ষেত্রে নিজেদের হার্ডড্রাইভে তথ্য সংরক্ষণ করলে এর সুরক্ষায় ঝুঁকি থাকে বা হার্ডড্রাইভ নষ্টও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ক্লাউড সেবায় ডাটা নিরাপদে থাকে। এমনকি বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে শুধু ইন্টারনেট কানেকশন থাকলে সে ডাটা ব্যবহার করা যায়। আলিবাবা ক্লাউড ছাড়াও ড্রপবক্স বা গুগল ড্রাইভও এ ধরনের সেবা প্রদান করে থাকে।

এ বিভাগের আরো খবর