কাশ্মীরে সাংবাদিকদের বৃহত্তম সংগঠন-দ্য কাশ্মীর প্রেস ক্লাবে শনিবারের অভ্যুত্থানে কয়েকজন বিতর্কিত সাংবাদিক সশস্ত্র পুলিশ সদস্যের যোগসাজসে নির্বাচিত কমিটিকে সরিয়ে ক্লাবের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
দ্য এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়া ক্লাবের এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবৈধ অন্তর্বর্তী কমিটি ক্লাবটিকে বন্ধ করে দিয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের তৎকালীন রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ একে ‘রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট অভ্যুত্থান’ বলে অভিহিত করেছেন।
শনিবার শ্রীনগরে পুলিশের সাহায্যে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে কাশ্মীর উপত্যকার সাংবাদিকদের বৃহত্তম সংগঠন কাশ্মীর প্রেস ক্লাবের দখল নিয়েছে মুষ্টিমেয় সাংবাদিক।
জম্মু ও কাশ্মীর সরকার, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এর প্রতিকূল প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে ক্লাবের রেজিস্ট্রেশন স্থগিত করার একদিন পরে বিতর্কিত ‘অভ্যুত্থান’ হয়েছে।
দ্য এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়া কাশ্মীর প্রেস ক্লাবের ঘটনায় কঠোর সমালোচনা করে রোববার এক বিবৃতিতে জানায়, ‘১৫ জানুয়ারি সশস্ত্র পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় উপত্যকার বৃহত্তম সাংবাদিক সমিতি, কাশ্মীর প্রেস ক্লাবের অফিস এবং ব্যবস্থাপনা যেভাবে একদল সাংবাদিক জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে। তাতে এডিটর গিল্ড অফ ইন্ডিয়া হতবাক ও শঙ্কিত।’
উল্লেখ্য, গত ২৯ ডিসেম্বর প্রেসক্লাবের রেজিস্ট্রেশন নবায়ন করা হলেও, ১৩ জানুয়ারি জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন তা প্রত্যাহার করে। গিল্ড বলেছে যে.....একইভাবে ‘কাশ্মীর প্রেস ক্লাবের রেজিস্ট্রেশন স্থগিত করার স্বেচ্ছাচারী আদেশে আমরা উদ্বিগ্ন, যা ঘটেছে ১৪ জানুয়ারি ক্লাবটিকে সশস্ত্র দখল নেবার একদিন আগে।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আরও বিরক্তিকরভাবে, রাজ্য পুলিশ কোনও উপযুক্ত পরোয়ানা বা কাগজপত্র ছাড়াই ক্লাব প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেছিল এবং এই অভ্যুত্থানে নির্লজ্জভাবে জড়িত ছিল, যার মধ্যে একদল লোক ক্লাবের স্ব-ঘোষিত ব্যবস্থাপনায় পরিণত হয়েছে।’
সশস্ত্র বাহিনী কীভাবে ক্লাব প্রাঙ্গণে প্রবেশ করল সে বিষয়ে স্বাধীন তদন্তেরও দাবি জানিয়েছে এডিটরস গিল্ড।
মুম্বাই প্রেস ক্লাব (এমপিসি), নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে একযোগে আইনত নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা সংস্থা থেকে কাশ্মীর প্রেস ক্লাবের (কেপিসি) জোরপূর্বক দখল নেওয়ার নিন্দা করেছে।
বিবৃতিতে এমপিসি জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন ক্লাবের নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
দিল্লির প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে কাশ্মীর প্রেস ক্লাবের সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বিবৃতিতে, কাশ্মীর প্রেস ক্লাবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে আবেদন করা হয়েছে, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে এবং রেজিস্ট্রেশন হালনাগাদ করে ক্লাবের নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করানোর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণে।