করোনা বিধি মেনে নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে আছেন পুণ্যার্থীরা। আর তাদের মাথায় ড্রোনের মাধ্যমে ছিটিয়ে দেয়া হচ্ছে গঙ্গার জল। করোনা সংক্রমণ রুখতে পারষ্পরিক সংস্পর্শ এড়াতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে।
দেশটিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে। সংক্রমণ রুখতে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। আরোপ করা হয়েছে বিধিনিষেধ। ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায় শুরু হয়েছে গঙ্গাসাগর পুণ্যস্নান মেলা। করোনা বিধিনিষেধের আওতায় এনে কর্তৃপক্ষ মেলা বন্ধ করেনি। তবে সংক্রমণ রোধে নেয়া হয়েছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। মেলা কমিটির এমন উদ্যোগ ইতোমধ্যে ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছে।
সাগরের পানি ড্রাম ভর্তি করে কপিল মুনির মন্দিরে পূজা দিয়ে তা ড্রোনে তোলা হচ্ছে। এরপর ড্রোনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুণ্যার্থীদের মাথায় ছিটিয়ে দেয়া হচ্ছে পবিত্র গঙ্গার জল।
এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ২০টি ড্রোন। মেলা প্রাঙ্গণের পাশাপাশি কচুবেড়িয়া, বাবুঘাট, ৮ নম্বর লট ও চেমাগুড়িতে পুণ্যস্নানের ব্যবস্থা রেখেছে জেলা প্রশাসন।
ড্রোনের মাধ্যমে গঙ্গার জল ছিটিয়ে দেয়া হচ্ছে পুণ্যার্থীদের মাথায়।
এছাড়া মেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে ই-স্নান কাউন্টার। সেখান থেকে গঙ্গার জল নিয়ে স্নানের ব্যবস্থা রাখা রয়েছে।
শুক্রবার জেলা প্রশাসক পি উলগানাথন বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে ড্রোনের মাধ্যমে পুণ্যস্নানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার মাঠসহ পাঁচটি এলাকায় এই ড্রোন রয়েছে।
‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। মাস্ক, করোনা টিকার দুই ডোজ গ্রহণ ও করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া গঙ্গাসাগর মেলায় কাউকে যেতে দেয়া হচ্ছে না। তাছাড়া সমুদ্রে একসঙ্গে ৫০ জনের বেশি পুণ্যার্থী যেতে দেয়া হচ্ছে না।’