ক্রোনাট নামের এক সি লায়ন তার জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করেছে। আর এর অবদান পুরোটাই আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের।
ডেইলিমেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার সান লুইস ওবিসপো কাউন্টির বিচে একটি সি লায়ন পাওয়া যায়। তার নাম রাখা হয় ক্রোনাট।
বিষাক্ত সামুদ্রিক শৈবালের সংস্পর্শে এসে তার মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সি লায়নটি মৃগীরোগে আক্রান্ত হয়। ফলে প্রায়ই তার খিঁচুনি হতো।
২০২০ সালে সার্জনরা তার মস্তিষ্কে একটি পরীক্ষামূলক অস্ত্রোপচার চালান। যেখানে একটি স্বাস্থ্যবান শূকরের মস্তিষ্ক থেকে কোষ সংগ্রহ করে ক্রোনাটের মস্তিষ্কে স্থাপন করা হয়।
সার্জারির এক বছরের বেশি সময় পর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরো সায়েন্টিস্ট স্কট বারবারান ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকে জানান, ক্রোনাটের এখন আর খিঁচুনি হয় না। সে খাবারের আগ্রহও ফিরে পেয়েছে। তার ওজনও স্বাভাবিক অবস্থায় চলে এসেছে।
গবেষকরা একই চিকিৎসাপদ্ধতি এখন মানুষের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার চিন্তাভাবনা করছেন।
উটাহ ইউনিভার্সিটির ফার্মাকোলজি ও টক্সিকোলজির প্রফেসর কারেন উইলসন এই চিকিৎসাপদ্ধতিকে খুবই আশাব্যঞ্জক হিসেবে মনে করছেন।
তিনি বলেন, যেসব মৃগীরোগী ওষুধে উপকার পাচ্ছেন না, তাদের জন্য এই চিকিৎসাপদ্ধতি আশীর্বাদ হতে পারে।
মৃগী মূলত একটি নিউরোলজিক্যাল বা স্নায়বিক রোগ। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে খিঁচুনি হয়। মস্তিষ্কে আঘাত, স্ট্রোক, মস্তিষ্কে টিউমার বা সংক্রমণ, জন্মগত ত্রুটি প্রভৃতিকে এ রোগের সম্ভাব্য কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্বে প্রায় ৫ কোটি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত।