ভারতে এখন করোনাভাইরাস মহামারির তৃতীয় ঢেউ চলছে। এর মাঝেই সরকারি তথ্যে জানা যায়, দেশটির ২৯টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১২০টি জেলায় সাপ্তাহিক করোনা সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ অতিক্রম করেছে।
গত ২৪ ডিসেম্বরেও দেশটির মাত্র দুটি জেলায় সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের ওপর ছিল। সেখান থেকে ৬ জানুয়ারির মধ্যে ১৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪১টি জেলায় সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন জেলায় করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেতে থাকে। সর্বশেষ ১০ শতাংশ সংক্রমণ ছাড়িয়ে গেছে ১২০টি জেলায়।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর, সাপ্তাহিক পজিটিভিটির হারের বিবরণ দিয়ে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘পরীক্ষাই হলো কোভিড সংক্রমণ রোধ করার মেরুদণ্ড, কারণ এর মাধ্যমে প্রাথমিকভাবেই আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্তকরণ এবং তাদের বিচ্ছিন্ন করে রাখার মাধ্যমে সংক্রমণ রোধ সম্ভব।
সব রাজ্যকে উপদেশ দেওয়া হচ্ছে, তারা পিছিয়ে থাকা অঞ্চল বিশেষ করে যেখানে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা সম্ভব নয়, সেসব গ্রামীণ এলাকায় দ্রুত অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে করোনাভাইরাস টেস্টের সংখ্যা বাড়ায়।’
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজির বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন ডা. জয়প্রকাশ মুলিল বলেছেন, কোভিড-১৯-এর ওমিক্রন ধরন ‘প্রায় অপ্রতিরোধ্য’ এবং সবাই শেষ পর্যন্ত এতে সংক্রমিত হবে। বুস্টার ভ্যাক্সিনের ডোজ ওমিক্রন ঠেকাতে পারবে না।
তবে মুলিল দাবি করেন, ‘করোনাভাইরাসের ধরন ওমিক্রন এখন আর ভয়ংকর রোগ নয়। এটি এখন এমন একটি রোগ, যা আমরা সহজেই মোকাবেলা করতে পারি।’