বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাজাখস্তানে অভ্যুত্থান মেনে নেবে না রাশিয়া

  •    
  • ১০ জানুয়ারি, ২০২২ ১৯:১২

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, কাজাখস্তান আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের লক্ষ্যবস্তু হয়ে গেছে এবং রাশিয়া এই অঞ্চলে কোনো অভ্যুত্থান মেনে নেবে না।

কাজাখস্তানের চলমান সহিংস সংঘাতকে সরকার পতনের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট অস্থিরতা হিসেবে দাবি করেছেন কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসেম-জোকার্ট তোকায়েভ।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর সামরিক সংগঠনকে (সিএসটিও) তিনি জানিয়েছেন, এই অস্থিরতার উৎপত্তি একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্র থেকে। তবে তিনি সরাসরি কাউকে দায়ী করেননি।

তোকায়েভ বলেন, কিছু অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আন্দোলনের মাঝে যুক্ত হয়। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল সাংবিধানিক মূল্যবোধ নষ্ট করা, সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সরকার উৎখাত করা।

এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, কাজাখস্তান আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের লক্ষ্যবস্তু হয়ে গেছে এবং রাশিয়া এই অঞ্চলে কোনো অভ্যুত্থান মেনে নেবে না।

দেশের অবকাঠামো রক্ষায় যতদিন কাজাখস্তান সরকার চাইবে, ততদিন সে দেশে তাদের উপস্থিতি থাকবে।

তিনি আরও বলেন, রাশিয়া ও অন্যান্য দেশের বাহিনী কাজাখস্তানে মোতায়েন হয়েছে আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার জন্য।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েরলান টুরগুমবায়েভ জানিয়েছেন, অবস্থা স্থিতিশীল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোও পাহারা দিচ্ছে সেনারা।

জরুরি অবস্থা ও পুরো দেশে কারফিউ এখনো জারি রয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার জন আটক হয়েছে। প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, সহিংসতার ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের মধ্য উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বিদেশিও রয়েছেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৬৪ জন। এর মাঝে আলমাতি শহরেই মারা গিয়েছেন ১০৩ জন।

এর আগে জ্বালানির দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে গত ২ জানুয়ারি বিক্ষোভ শুরু হয় কাজাখস্তানে। পরে আরও কিছু দাবি আন্দোলনে যুক্ত হয়। একপর্যায়ে তা রূপ নেয় সহিংসতায়।

বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী আসকার মামিন। দেশজুড়ে জারি হয় দুই সপ্তাহের জরুরি অবস্থা। এতেও দমানো যায়নি বিক্ষুব্ধদের। এমন পরিস্থিতিতে আলমাতি শহরে চালানো হয়েছে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ।

বলা হচ্ছে, ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর এমন পরিস্থিতি দেখেনি দেশটির জনগণ।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত কয়েকটি দেশের সামরিক জোট কালেকটিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (সিএসটিও) সহায়তা চান কাজাখস্তান প্রেসিডেন্ট। রাশিয়ার নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার সেনা নামে দেশে।

তারা জানায়, দেশের অবকাঠামো রক্ষায় যতদিন কাজাখস্তান সরকার চাইবে, ততদিন সে দেশে তাদের উপস্থিতি থাকবে। আর বিক্ষোভকারীদের প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী অ্যাখ্য দিয়ে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট তোকায়েভ।

এ বিভাগের আরো খবর