বাংলাদেশের ঋণ নিয়ে আক্ষেপ ঝরে পড়লো শ্রীলঙ্কার সাবেক মন্ত্রী ও কলম্বো থেকে নির্বাচিত বর্তমান এমপি হর্ষ ডি সিলভার টুইটে।
অর্থনৈতিকভাবে খারাপ সময় যাচ্ছে শ্রীলঙ্কার। রিজার্ভ বাড়ানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যখন একের পর এক রেকর্ড গড়ছে, শ্রীলঙ্কা তখন বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে ভুগছে।
গৃহযুদ্ধের ক্ষত, উন্নয়ন প্রকল্পে বিপুল বৈদেশিক ঋণসহ নানা কারণে চাপে আছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি।
গত মে মাসে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমে এসেছিল ৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। এ সময়ই ৪৫ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ গড়া বাংলাদেশ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয় শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে।
বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটাতে সে সময় শ্রীলঙ্কাকে ২০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশ।
চুক্তি অনুযায়ী, ডলারে ঋণ নিলেও নির্দিষ্ট সময় পর বাংলাদেশকে এই অর্থ নিজেদের মুদ্রায় ফেরত দেবে শ্রীলঙ্কা। এর সঙ্গে যুক্ত হবে অতিরিক্ত ২ শতাংশ সুদও।
পাশাপাশি ২০ কোটি ডলার সমমূল্যের শ্রীলঙ্কান রুপি দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকে লিয়েন হিসেবে জমা থাকবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে শ্রীলঙ্কা থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি করা পণ্যের মূল্য স্থানীয় মুদ্রায় পরিশোধ করবে সেন্ট্রাল ব্যাংক অফ শ্রীলঙ্কা।
এবার এই ঋণ নিয়ে টুইটারে এক দুঃখ ভারাক্রান্ত পোস্ট দিলেন শ্রীলঙ্কার এমপি হর্ষ ডি সিলভা। কলম্বো থেকে নির্বাচিত এই অর্থনীতিবিদ এর আগে শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংস্কারবিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন।
মঙ্গলবার পোস্ট করা ওই টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য এই যে, আমাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসার জন্য আবারও শ্রীলঙ্কার ধন্যবাদ প্রাপ্য বাংলাদেশের।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শ্রীলঙ্কান প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের মধ্যে হওয়া সাম্প্রতিক এক কথোপকথনের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, শ্রীলঙ্কাকে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা আরও তিন মাস বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
নিজ দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মাথায় রেখে সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা কতটা পিছিয়ে গেছি!’