ভারতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন। এখন পর্যন্ত দেশের ১৯ রাজ্যে এই ধরন শনাক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে এসব রাজ্যে ৫৭৮ জনের ওমিক্রনে আক্রান্তের তথ্য পাওয়া গেছে।
সোমবার দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে এই ওমিক্রন রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। হিমাচল প্রদেশেও একজন শনাক্ত হয়েছেন। এ ছাড়া দেশজুড়ে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ১৫১ জন সুস্থ হয়েছেন। সার্বিক পরিস্থিতিতে দিল্লিতে রাত্রীকালীন কারফিউ দেয়া হয়েছে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে, করোনা নিয়ন্ত্রণে যে জাতীয় নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল, তা আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত কঠোরভাবে পালন করতে হবে। রাজধানী দিল্লিতে ওমিক্রনের সবচেয়ে বেশি রোগী রয়েছে। এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৪২ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৩ জন।
দিল্লিতে সোমবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯০ জনের করোনা আক্রান্তের তথ্য পাওয়া গেছে। কয়েক দিন ধরে ভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমাগত বৃদ্ধির পর দিল্লি সরকার সোমবার রাত থেকে কারফিউ জারি করেছে। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ থাকবে।
দিল্লিতে করোনা পজিটিভের হার শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ পার হয়েছে। গত ১০ জুনের পর থেকে এটিই সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্তের হার। ১০ জুন আক্রান্ত ছিল ৩০৫ জন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনাভাইরাসে নতুন করে ৬ হাজার ৫৩১ জন আক্রান্ত এবং ৩১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন দেশে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭৫ হাজার ৮৪১। মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৯৭।
টিকা নিবন্ধনের ভারত সরকারের 'কোউইন' অ্যাপে'র প্রধান ডা. আর এস শর্মা জানান, ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী ছেলেমেয়েরা ১ জানুয়ারি থেকে কোউইন অ্যাপে নাম রেজিস্ট্রি করতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশনের জন্য একটি অতিরিক্ত আইডি কার্ড যুক্ত করা হয়েছে- ‘ছাত্র আইডি কার্ড'। কারণ কারও কারও কাছে আধার বা অন্য পরিচয়পত্র নাও থাকতে পারে।