যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের মাঝেই আগস্টে আফগানিস্তানে ক্ষমতায় এসেছে তালেবান। প্রশাসনের দায়িত্ব নেয়ার পর তাদের সবচেয়ে বড় মিত্র হিসেবে ভাবা হচ্ছিল প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানকে। পাকিস্তান সরকারও এই সুযোগে আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যার সমাধান করতে চাইছিল। তবে দুই দেশের উষ্ণ সম্পর্ক দ্রুতই শীতল সম্পর্কে পরিণত হচ্ছে।
আফগান সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজের প্রতিবেদনে জানা যায়, সম্প্রতি আফগান সীমান্তে পাকিস্তানের মর্টার হামলার প্রেক্ষাপটে তালেবানের উচ্চপর্যায়ের কমান্ডার আবু দোজানা জানিয়েছেন, ইসলামাবাদ যদি তাদের কার্যক্রম বন্ধ না করে, কাবুল জবাব দিতে প্রস্তুত।
আবু দোজানা হচ্ছেন ২০১ খালিদ বিন ওয়ালিদ গ্রুপের কমান্ডার।
তিনি আরও বলেন, ‘তালেবান প্রতিবেশী সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। তবে যে কোনো সামরিক উসকানিকে প্রতিহত করা হবে।
এটি পবিত্র ভূমি। আমরা এ ভূমির জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। তারা যদি আমাদের এই ভূমিতে হামলা চালায়। আমরা নিশ্চিতভাবে এর জবাব দিব।’
পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশে দুই সপ্তাহ যাবৎ মর্টার হামলা চালাচ্ছে। হামলায় একজন বেসামরিক আফগানও আহত হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ জানাচ্ছে তালেবান।
শালতান জেলার বাসিন্দা সালমান বলেন, ‘পাকিস্তান আমাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। নারী-শিশুসহ আমরা সবাই বিপদে আছি।’
এ ছাড়া কুনার প্রদেশে পাকিস্তানি ড্রোনও উড়তে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।