প্রত্যাশা মতোই নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে কলকাতা পৌরসভা নিজেদের দখলে রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিধানসভা ভোট, উপনির্বাচনের ভোটের মতো পৌর ভোটেও তৃণমূলের অব্যাহত জয়ের ধারার মুখে দাঁড়াতে ব্যর্থ বাম, বিজেপি আর কংগ্রেস। ১০-এর নিচে আটকে গেছে তাদের আসন জয়ের সংখ্যা।
তৃণমূলের বিশাল ব্যবধানে জয়ের পর দলনেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গ ভারতবাসীকে পথ দেখাবে।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গুয়াহাটি যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সব মানুষ, ভাই-বোনদের প্রণাম, অভিনন্দন ও সালাম জানাই। গণ উৎসবের মতো করে এই নির্বাচন হয়েছে। এটা গণতন্ত্রের জয়। আমরা মা মাটি মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনারা যত আশীর্বাদ করবেন, তত মাথা নত করে কাজ করব। কলকাতা দেশের গর্ব। কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ দেশকে পথ দেখাবে।’
এরপর একযোগে বাম, বিজেপি, কংগ্রেসকে আক্রমণ করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম মানুষের ভোটে লজ্জাজনকভাবে হেরেছে। এই রায় উন্নয়নের পথে কাজ করতে সাহায্য করবে আমাদের। আমরা মাটির কাছাকাছি থাকা মানুষ। তাই এই ফলাফল। বিজেপি ভোকাট্টা, সিপিএম লাপাত্তা আর কংগ্রেস হয়ে গেছে স্যান্ডউইচ।’
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা পৌর ভোটে দলের এই নিরঙ্কুশ জয়ে টুইট করে জানান, ‘কলকাতার মানুষ আবারও প্রমাণ করলেন, ঘৃণা ও সহিংসতার কোনো জায়গা নেই পশ্চিমবাংলায়।’
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে কড়া নিরাপত্তায় ১১টি কেন্দ্রে ভোট গণনা শুরু হয়। সব কটি গণনা কেন্দ্রের বাইরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ১৩ থেকে ১৬ রাউন্ড ভোট গণনা শেষে তৃণমূল কংগ্রেস কলকাতা পৌরসভার ১৪৪টি আসনের মধ্যে ১৩৪টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। বিজেপি ৩টি, কংগ্রেস ২টি, বামেরা ২টি এবং অন্যরা ৩টি আসনে জয় পেতে চলেছে।
২০১৫ সালের ভোটে কলকাতা পৌরসভার ১৪৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস একাই ১১৪টি আসনে জিতেছিল। বামফ্রন্ট ১৬টি আসনে এবং বিজেপি ৭টি এবং কংগ্রেস ৫টি আসনে জিতেছিল।
৮২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সকালে আলিপুর হেস্টিং হাউসের গণনা কেন্দ্রে গিয়ে বলেন, ‘নির্বাচনের আগে থেকে হেরে বসে আছে বিরোধীরা। সবাই আগে থেকেই জানেন, তৃণমূল কংগ্রেস জিতবে। ফলে কোনো রেষারেষি নেই।’