ভারতের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের পতন হয়েছে। মুম্বাই স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক সেনসেক্স এক দিনেই কমেছে ১ হাজার ৮০০ পয়েন্ট। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক নিফটি ফিফটি কমেছে প্রায় ৬০০ পয়েন্ট।
মারুতি সুজুকি, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাংকের মতো বড় কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর পড়ে গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আতঙ্কে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার ছেড়ে দেয়ায় এই বড় পতন।
দরপতনের কারণে বাজার মূলধন এক মিনিটেই ৫ দশমিক ৫৩ লাখ কোটি টাকা কমে ২৫৩ লাখ ৯৪ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে। এতে বিনিয়োগকারীদের ৭ লাখ কোটি টাকার বেশি লোকসান হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারতের ওমিক্রন শনাক্তের সংখ্যা এখন কমপক্ষে ১৭১। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে ৫৪, দিল্লিতে ২৮, রাজস্থানে ১৭, কর্নাটকে ১৯, তেলেঙ্গানায় ২০, গুজরাটে ১১, কেরালায় ১৫, পশ্চিমবঙ্গে চারজন করে এবং অন্ধ্রপ্রদেশ, চণ্ডীগড় ও তামিলনাড়ুতে একজন করে আত্রান্ত হয়েছেন।
ক্রমবর্ধমান ওমিক্রন সংক্রমণের মধ্যে সোমবার ৩০টি সেনসেক্স স্টকের মধ্যে শুধু সান ফার্মা লাভ করেছে, বাকি ২৯টি স্টকের পতন হয়েছে৷
বাজাজ ফাইন্যান্স, টাটা স্টিল, ইন্দাসইন্দ ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া, এনটিপিসি, বাজাজ ফিনসারভ, মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা, লারসেন অ্যান্ড টুব্রো, কোটাক মাহিন্দ্র ব্যাংক, এয়ারটেল ও এক্সিস ব্যাংকের শেয়ারদর কমেছে।
দেশীয় ইক্যুইটি বাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ক্রমাগত বিক্রির কারণে সোমবার প্রথম বেচাকেনায় ডলারের বিপরীতে টাকা ৯ পয়সা কমে ৭৬ দশমিক ১৫-এ পৌঁছেছে। আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে লেনদেন শুরুর সময় টাকা ৭৬ দশমিক ১৩ থেকে ৭৬ দশমিক ১৬ পর্যন্ত লেনদেন করছিল।
করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কায় দেশীয় শেয়ারবাজারের মতো টাকার ওপরেও চাপ বেড়েছে। বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা শুক্রবার ২ হাজার ৬৯ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ভারতে এক দিনে ৬ হাজার ৫৬৩ জন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৪৬ হাজার ৮৩৮ জন।
একই সময়ে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা নেমে এসেছে ৮২ হাজার ২৬৭। এই সংখ্যা ২০২০ সালের মার্চের পর সর্বনিম্ন।
সোমবার ১৩২ জন নতুন মৃত্যুর পর মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫৫৪-এ দাঁড়িয়েছে।