আফগানিস্তানে তালেবান গোষ্ঠী ক্ষমতায় আসার পর অর্থনীতিতে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তা দেশটিতে লাখ লাখ মানুষকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের মুখোমুখি করেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানা যায়, এই পরিস্থিতি থেকে আফগানিস্তানকে বের করে আনার জন্য ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) মানবিক কল্যাণ তহবিল গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আগস্টের পর থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিলিয়ন ডলারের সাহায্য বন্ধের পাশাপাশি তালেবান সরকারকে চাপে রাখতে দেশটির সম্পদ জব্দ করায় এ-সংকট তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৯ বিলিয়ন ডলার আটকে দিয়েছে।
ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, ‘যদি আফগানিস্তানে দ্রুত সহায়তা না দেয়া হয়, তাহলে দেশটি অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে।’
তিনি বলেন, যেকোনো সরকারই যদি সরকারি কর্মকর্তাদের, চিকিৎসকদের, নার্সদের বেতন দিতে না পারে তাহলে সেই সরকার মুখ ধুবড়ে পড়বে। আফগানিস্তানে এই ধরনের অস্থিতিশীলতা কারো জন্য ভালো হবে না। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও নয়।
সভা শেষে ওআইসির যে পরিকল্পনা পেশ করা হয়েছে তাতে জানা যায়, ২০২২-এর প্রথম প্রান্তিকে আফগান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি দেখভালের দায়িত্ব পেয়েছে ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি)।
এ ছাড়াও সম্মেলন থেকে আফগান সরকারকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তি মেনে চলতে বলা হয়েছে।
তবে ওআইসির এই সম্মেলনে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। এমনকি সভা শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মিলিত ছবিতেও আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকিকে বাদ দেয়া হয়েছে।
যদিও সম্মেলনে মুত্তাকি বলেন, ‘তার সরকারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার অধিকার রয়েছে।’
আফগান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখেই পাকিস্তানের আগ্রহে ওআইসির এই জরুরি সভার আয়োজন করা হয়েছে। ইসলামাবাদে মুসলিম দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।