বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘মহামারিতে গুজবে বেড়েছিল মদের মজুতও’

  •    
  • ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ২২:২৩

পছন্দের মদ নিয়ে মানুষে মানুষে পার্থক্য দেখা গেছে। অনেকেই জানিয়েছেন, বিয়ারের প্রতি তারা অনাগ্রহী।

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস বদলে দিয়েছে জীবনব্যবস্থা। বদলেছে অনেক কিছুই। শুরুতে এর ভয়াবহতা অনুমান করে ওষুধ, খাবারসহ নিত্যপণ্যের মতো জিনিগুলো মজুত করতে শুরু করে মানুষ। শুধু কী এসব! না, ওই সময় গুজবে মদও মজুত করা শুরু হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে মহামারির শুরুর দিকে মদ বিক্রির তথ্য বিশ্লেষণে সম্প্রতি এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন

২০২০ সালের মার্চ থেকে জুনে লকডাউনের সময় মদ বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়। গুজবে মানুষ মদ মজুত শুরু করে। তবে ওই সময়ে কিছু অঙ্গরাজ্যে বিয়ার বিক্রির অবস্থা ছিল স্থিতিশীল, আবার কিছু এলাকায় তা বিক্রি কমে যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অন অ্যালকোহল অ্যাবিউজ অ্যান্ড অ্যালকোহলিজম মদ বিক্রি নিয়ে এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে। ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালের একই সময়ের তথ্যও বিশ্লেষণ করে তারা। এর পাশাপাশি মদ বিক্রি হয় এমন দোকান বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ৪৫ মিলিয়ন ডিজিটাল ডিভাইস ও ট্রাকিং যন্ত্র পর্যবেক্ষণ করা হয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, আলাস্কা, টেক্সাস, ইলিনয়, ফ্লোরিডাসহ দেশটির ১৪টি অঙ্গরাজ্যের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হয়। পছন্দের মদ নিয়ে মানুষে মানুষে পার্থক্য দেখা গেছে। অনেকেই জানিয়েছেন, বিয়ারের প্রতি তারা অনাগ্রহী।

গবেষণায় অংশ নেয়া নিউইয়র্কের ইউনিভার্সিটি অফ বাফেলোর জ্যাকবস স্কুল অফ মেডিসিন অ্যান্ড বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক ব্রিয়ান কুইজলে বলেন, ‘করোনার মতো মহামারিতে মদ কেনার ক্ষেত্র কীভাবে পরিবর্তিত হয় তা বোঝা যায় এই গবেষণায়।’

বাফেলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইংজি হু বলেন, ‘আমাদের গবেষণা মদজাতীয় পণ্যের কেনাবেচা নিয়ে নীতির প্রয়োজনীয়তার পরামর্শ দেয়।’

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনে প্রথম করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশে। এতে দিন দিন প্রাণহানি বাড়ছেই।

এ বিভাগের আরো খবর