বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরির ঘটনা বাড়ছেই

  •    
  • ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৪:৩৮

ক্রিপ্টো হেডের প্রতিষ্ঠাতা এডাম মরিস বলেন, যদি হ্যাকাররা ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করতে সক্ষম হয়, তারা মুহূর্তের মধ্যেই অর্থ উত্তোলন করতে পারে নিজের কোনো অস্তিত্ব জানান না দিয়েই।

বিটকয়েন, ইথারিয়াম, লাইটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরির ঘটনা বাড়ছেই। চলতি বছরেই ৬০০ মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি হ্যাক হয় ‘পলি নেটওয়ার্ক’ থেকে। ‘পলি নেটওয়ার্ক’ হলো অনলাইনে জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জের সেন্ট্রালাইজড প্ল্যাটফর্ম। যদিও এই ঘটনার পর হ্যাকার অর্থ ফেরত দেয়।

তবে সব সময় অর্থ ফেরতের ঘটনা ঘটে না। সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে জানা যায়, ‘পলি নেটওয়ার্ক’ হ্যাকিংয়ের চার মাস পরেই হ্যাকাররা বিটমার্ট থেকে ১৫০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি সরিয়ে ফেলে। দুটি ‘হট ওয়ালেট’ খুলে ফেলার জন্য হ্যাকাররা চুরি হওয়া ‘প্রাইভেট কি’ ব্যবহার করে। এ ঘটনায় জড়িত হ্যাকারদের শনাক্ত করা যায়নি।

কমপারিটেকের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ক্রিপ্টোকারেন্সি জগতে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় হ্যাকিং ১০টি ঘটনার পাঁচটিই ঘটেছে এ বছরে। অর্থনৈতিক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্রমাগত ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে এই ধরনের অর্থ চুরির ঘটনাগুলো ঘটছে। সামনে অনেক প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান মেটাভার্সে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠান মেটাভার্স প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার রূপরেখা ঘোষণা করেছে। এমনকি প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে নাম রেখেছে ‘মেটা’। ফোর্টনাইটের মতো গেমিং প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে মেটাভার্সে পরিণত হয়েছে। ফলে নন-ফাঞ্জিবল টোকেনের (এনএফটি) চাহিদা বাড়বে। সে ক্ষেত্রে সামনের দিনগুলোয় যে ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার আরও বেড়ে যাবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আর ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার বাড়লে এ-সংক্রান্ত অপরাধও বাড়বে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি হ্যাকারদের প্রধানত দুই ধরনের টার্গেট থাকে। একটি সেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জ ও অন্যটি ডিসেন্ট্রালাইজড ফিন্যান্স। সেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জগুলোয় একজন ব্যবহারকারী তার ক্রিপ্টোকারেন্সি জমা ও ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন। পোলোনিক্স, বাইনান্সের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো সেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জ সুবিধা দেয়। আর ডিসেন্ট্রালাইজড ফিন্যান্সে সাধারণত একজন ব্যবহারকারী নিজের ডিভাইসটিতেই অর্থ জমা করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ‘মেটামাস্কের’ মতো ইথারিয়াম ওয়ালেটগুলো জনপ্রিয়।

সাধারণত সেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জ হ্যাকের ক্ষেত্রে হ্যাকাররা প্রতিষ্ঠানের ‌‘প্রাইভেট কি’ চুরি করার চেষ্টা করে। আর ডিসেন্ট্রাইলজড ফিন্যান্সের ক্ষেত্রে হ্যাকারকে একজন ক্রিপ্টো ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত কম্পিউটারকে লক্ষ্য করে বানাতে হয়। তখন ট্রোজানের মতো ম্যালওয়ার ও কি লগার বাইন্ডিং করে ফিশিংয়ের মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করে হ্যাকাররা। ফলে দেখা যায় শুধু অর্থ হারানোর ঝুঁকিই নয়। একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যও ঝুঁকিতে থাকে।

ক্রিপ্টো হেডের প্রতিষ্ঠাতা এডাম মরিস বলেন, যদি হ্যাকাররা ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করতে সক্ষম হয়, তারা মুহূর্তের মধ্যেই অর্থ উত্তোলন করতে পারে নিজের কোনো অস্তিত্ব জানান না দিয়েই।

তবে হ্যাকারদের কবল থেকে নিজেকে কীভাবে রক্ষা করতে হয়, সে সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন ক্রিপ্টোক্রাইম অ্যানালিস্ট জন ম্যাকগিল। তিনি বলেন, সাইবার অপরাধ থেকে নিজেকে বাঁচানোর শতভাগ নিশ্চিত কোনো উপায় নেই। তবে সেন্ট্রালাইজড এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রে যেই এক্সচেঞ্জ ব্যবহার করা হবে তার ইতিহাস ও সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে তারা কত দ্রুত সাড়া দেয়, তা দেখা বাঞ্ছনীয়।

মরিসের মতে, ক্রিপ্টোঅ্যাসেট রক্ষা করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হলো হার্ডওয়্যার ওয়ালেট। তবে সে ক্ষেত্রে ঝুঁকিটা হলো ‘প্রাইভেট কি’র সংরক্ষণ সম্পূর্ণ ব্যক্তির ওপর। কেউ যদি তার ‘প্রাইভেট কি’ হারায়, সে ক্ষেত্রে কখনই ক্রিপ্টোঅ্যাসেট উদ্ধার করা সম্ভব হবে না।

এ বিভাগের আরো খবর