বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ইউক্রেন আক্রমণ করলে রাশিয়ার নির্মম পরিণতি’

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১২ ডিসেম্বর, ২০২১ ২৩:৪২

ইউক্রেনে আক্রমণ না করে ধীরে ধীরে সৈন্য সরিয়ে নেয়ার পাশাপাশি রাশিয়াকে কূটনৈতিকভাবে সমাধান খোঁজা ও আন্তার্জাতিক আইনকে মান্য করার পরামর্শ দিয়েছে জাপান, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্মিলিত সংগঠনট জি-৭।

ইউক্রেনে হামলা চালালে রাশিয়াকে নির্মম পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশগুলোর সংগঠন জি-৭।

রোববার বিবিসি জানিয়েছে, লিভারপুলে চলমান জি-৭ সম্মেলনের এক সভার পর যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রুস ওই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

ট্রুস বলেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন থামাবে এটাই চায় জি-৭।’

গত মঙ্গলবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে এক ভিডিও কলে পুতিন জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার সেনারা কারো জন্য হুমকি হবে না। কিন্তু এরপরও ইউক্রেন সীমান্তে বিপুল সংখ্যক রুশ সেনা মোতায়েন অব্যাহত রাখায় এখন উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, জানুয়ারির শেষ দিকে তাদের দেশে হামলার পরিকল্পনা করেছে রাশিয়া। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এ বিষয়ে পুতিন কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি-না তা এখনও পরিস্কার নয়।

মঙ্গলবারের ভার্চুয়াল বৈঠকে পুতিনকে বাইডেন বলেছিলেন, ইউক্রেনে হামলা করলে তাকে এমন অর্থনৈতিক পরিণতি ভোগ করতে হবে, যা তিনি কখনোই দেখেননি।

বাইডেনের হুমকিকেই যেন নতুন করে উচ্চারণ করেছে এবার জি-৭। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘রাশিয়ার এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ থাকার কারণ নেই যে, ইউক্রেনে হামলা চালালে তাদের নির্মম পরিণতি বরণ এবং চড়া মূল্য দিতে হবে।’

তাই ইউক্রেনে আক্রমণ না করে ধীরে ধীরে সৈন্য সরিয়ে নেয়ার পাশাপাশি রাশিয়াকে কূটনৈতিকভাবে সমাধান খোঁজা ও আন্তার্জাতিক আইনকে মান্য করার পরামর্শ দিয়েছে জাপান, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্মিলিত সংগঠনটি।

ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার পাশাপাশি ইউরোপিয় ইউনিয়নেরও সীমান্ত রয়েছে। তবে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে তাদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।

কিন্তু ইউক্রেনের বিরুদ্ধে উসকানির অভিযোগ তুলেছে রাশিয়া। তারা পূর্ব সীমান্ত সংলগ্ন ইউক্রেনের মাটিতে ন্যাটো সেনাদের অবস্থান ও সীমান্তের কাছে অস্ত্র মোতায়েন না করারও নিশ্চয়তা চেয়েছে।

এদিকে, রুশ সমর্থিত বিদ্রোহীরা ২০১৪ সাল থেকেই ইউক্রেনের সৈন্যদের সঙ্গে লড়াই করছে। যদিও বিদ্রোহীদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনেছে রাশিয়া। এ বিষয়ে সম্প্রতি পুতিন বলেছিলেন, ‘আমরা দেখছি এবং জানি যে, ডনবাসে কী ঘটছে। এটাকে নিশ্চিতভাবেই গণহত্যা মনে হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর