হিন্দুত্ববাদীদের সরিয়ে হিন্দুদের ক্ষমতায় আনা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় কংগ্রেস পার্টির নেতা রাহুল গান্ধী।
রোববার রাজস্থানের জয়পুরে এক রাজনৈতিক সভায় এমন মন্তব্য করেন রাহুল। তিনি মনে করেন, ভারতীয় রাজনীতিতে ‘হিন্দু’ আর ‘হিন্দুত্ববাদী’ এই শব্দ দুটি আলাদা অর্থ বহন করে।
একটি উদাহরণ দিয়ে হিন্দু আর হিন্দুত্ববাদীর পার্থক্যও দেখিয়ে দেন ভারতীয় কংগ্রেস পার্টির সাবেক সভাপতি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী ছিলেন একজন হিন্দু। আর তাকে যিনি হত্যা করেছিলেন সেই নথুরাম গডসে ছিলেন হিন্দুত্ববাদী।’
রাহুল বলেন, ‘আজকের দিনে ভারতের রাজনীতিতে হিন্দু আর হিন্দুত্ববাদী এই শব্দ দুটির মধ্যে লড়াই চলছে। দুটি শব্দ আলাদা অর্থ বহন করে। আমি হিন্দু, হিন্দুত্ববাদী নই।’
ক্ষমতাসীন বিজেপিকে লক্ষ্যবস্তু করে রাহুল বলেন, ‘হিন্দুত্ববাদীরা শুধু ক্ষমতা চায়। আর তারা ২০১৪ সাল থেকেই ক্ষমতায় আছে। আমাদের উচিত এইসব হিন্দুত্ববাদীদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া এবং হিন্দুদের ক্ষমতায় নিয়ে আসা।’
রোববার রাজস্থানের জয়পুরে মুদ্রাস্ফীতিবিরোধী এক আন্দোলনে অংশ নেন রাহুল। এই আন্দোলনকে ‘অবধারিত লড়াই’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছে ভারতীয় কংগ্রেস পার্টি।
কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ছাড়াও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এই সমাবেশে অংশ নেন।
সমাবেশে রাহুল দাবি করেন, হিন্দুত্ববাদীরা সারা জীবনই ক্ষমতার অনুসন্ধান করে। এর জন্য তারা যেকোনো কিছু করতে পারে। তারা ‘সত্যাগ্রহ’ নয়, ‘সত্তাগ্রহ’-এর পথ অনুসন্ধান করে।
হিন্দু কে, এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রাহুল বলেন, ‘হিন্দু সে-ই, যিনি সবাইকে কাছে টেনে নেন এবং সব ধর্মকেই সম্মান করেন।’
উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ্য করে রাহুল বলেন, ‘আপনারা হিন্দুদের যেকোনো ধর্মগ্রন্থ পড়ে দেখতে পারেন। তা হোক রামায়ণ, মহাভারত, গীতা কিংবা উপনিষদ। আমাকে বলুন যে, কোথায় লেখা আছে, গরিবকে মার খেতে হবে। কোথায় লেখা আছে, হতদরিদ্র মানুষেরা নির্যাতিত হবে।’