বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা শনাক্ত করতে সক্ষম মাস্ক আবিষ্কার

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১১ ডিসেম্বর, ২০২১ ২২:১২

জাপানি বিজ্ঞানী সুকামটো জানিয়েছেন, নিজের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতিও তিনি নিজের আবিষ্কৃত মাস্কের সাহায্যেই জেনেছিলেন। পরে সাধারণ পরীক্ষায়ও তার প্রমাণ মেলে।

উটপাখির কোষ ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা এমন এক মাস্ক আবিষ্কার করেছেন, যা দিয়ে সহজেই করোনাভাইরাসের উপস্থিতি দেখা যাবে।

গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা শনাক্ত করতে সক্ষম ওই মাস্কটি আবিষ্কার করেছেন জাপানের কিটো প্রিফেকচারাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। আর এই গবেষক দলটির নেতৃত্ব দিয়েছেন ইয়াশুহিরো সুকামটো।

করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে গেলে কিংবা মাস্ক পরা ব্যক্তির শরীরে ভাইরাসটি থাকলে তার ব্যবহৃত মাস্কটিকে অতিবেগুনি রশ্মিতে মেলে ধরলেই করোনার উপস্থিতি দেখা যায়।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এর সাহায্যে বাড়িতে বসেই করোনাভাইরাসের উপস্থিতি জানা যাবে। শুধু তা-ই নয়, এর ফলে করোনাভাইরাস পরীক্ষার খরচও অনেকাংশে কমে আসবে বলে আশা করছেন তারা।

একটি পরীক্ষায় ওই মাস্কগুলো কয়েকজনকে পরতে দেয়া হয়। ৮ ঘণ্টা পর এগুলো সংগ্রহ করে বিশেষ এক ধরনের রাসায়নিক ছিটিয়ে দেয়া হয়। পরে এগুলোকে অতিবেগুনি রশ্মির সামনে তুলে ধরলে দেখা যায়, যারা করোনায় আক্রান্ত ছিলেন মাস্কে তাদের নাক ও মুখের অংশটিতে বিশেষ এক ধরনের রঙের উপস্থিতি রয়েছে।

গবেষকরা মাস্কটিকে এখন এমনভাবে তৈরির চেষ্টা করছেন, যেন অতিবেগুনি রশ্মি ও রাসায়নিক ছাড়াই করোনার উপস্থিতি দেখা যায়।

উটপাখির ডিম হাতে ইয়াশুহিরো সুকামটো

এ ধরনের মাস্ক তৈরিতে জাপানি বিজ্ঞানীরা বলেন, উটের কোষ ব্যবহার করার কারণ হলো অতীতের একটি গবেষণা। ওই গবেষণায় দেখা গেছে, করোনার বিরুদ্ধে উচ্চ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন অ্যান্টিবডি রয়েছে উটপাখির শরীরে।

গবেষক দলের প্রধান সুকামটোও দীর্ঘদিন ধরে উটপাখির ওপর গবেষণা করছিলেন বিভিন্ন ধরনের ফ্লুয়ের বিরুদ্ধে এর প্রতিরোধ ক্ষমতার রহস্য খুঁজে বের করার জন্য।

সুকামটো জানিয়েছেন, নিজের শরীরের করোনাভাইরাসের উপস্থিতিও তিনি নিজের আবিষ্কৃত মাস্ক ব্যবহার করেই জেনেছিলেন। পরে সাধারণ পরীক্ষায়ও তার প্রমাণ মেলে।

এ বিভাগের আরো খবর