অস্ট্রিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গার্জের একটি স্কুলে গোলাগুলিতে অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। যারমধ্যে হামলাকারীও আছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার ড্রেইয়ার্সচুৎজেনগাস স্কুলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামলায় একাধিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ঠিক কতজন মারা গেছে তারা সেটি স্পষ্ট করে জানায়নি।
তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি দেশটির কয়েকটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, হামলার পর ৯টি মরদেহ পাওয়া গেছে। যারমধ্যে হামলাকারীর মরদেহ আছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় মেয়র এলকে কাহর বার্তাসংস্থা এপিএ নিউজকে জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে সন্দেহভাজন বন্দুকধারী আছে। পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বন্দুকধারী এ স্কুলেরই শিক্ষার্থী ছিল।
হামলাকারী নিহত হওয়ায় এ মুহূর্তে সেখানে কোনো ধরনের ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ।
যে স্থানে হামলা হয়েছে সেটি অস্ট্রিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ শহর। এটি রাজধানী ভিয়েনা থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
বন্দুকধারী প্রায় এক ঘণ্টা স্কুলটিতে তাণ্ডব চালায়। এরপর সেখানে পুলিশ উপস্থিত হয়। রাষ্ট্রায়াত্ত্ব সংবাদমাধ্যম ওআরএফ জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে বন্দুকধারী নিজেই পরবর্তীতে আত্মহত্যা করে।
অস্ট্রিয়ান সংবাদমাধ্যম ক্রোনেন জেইতাং জানিয়েছে, সকাল ১০টার দিকে প্রথম গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। আর হামলা হয় দুটি ক্লাসরুমে।
অস্ট্রিয়ায় স্কুলে এ ধরনের হামলার ঘটনা খুবই বিরল। দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে, এটি তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গোলাগুলির ঘটনা।
গ্রাজের মেয়র পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৯ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন। যারমধ্যে সাতজন হলেন স্কুলের শিক্ষার্থী। আরেকজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি। তিনি এ ঘটনাকে ‘ভয়ানক ট্র্যাজেডি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। মেয়র নিশ্চিত করেছেন, ৯ জনের মধ্যে হামলাকারীও আছে।