যুক্তরাজ্যে আটক উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে হস্তান্তরের জন্য একটি আপিলে জয় পেয়েছে আমেরিকার সরকার। শুক্রবার যুক্তরাজ্যের উচ্চ আদালতে এমন রায় দেয়া হয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানায় ব্রিটেনের এক নিম্ন আদালত।
নতুন রায় আমেরিকার পক্ষে যাওয়ায় অ্যাসাঞ্জকে প্রত্যর্পণের এক ধাপ কাছাকাছি নিয়ে গেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই পথে আরও বাধা রয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ব্রিটিশ বিচারক হলরয়েড বলেছেন, ‘অ্যাসাঞ্জকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করা উচিত কিনা সেই সিদ্ধান্ত নিতে মামলাটি এখন ওয়েস্টমিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠাতে হবে।
যুক্তরাজ্যে আটক উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ফৌজদারি অপরাধের মুখোমুখি করতে প্রত্যর্পণের জন্য অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করছে আমেরিকা। মার্কিন কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি আইন ভঙ্গ, সরকারি কম্পিউটার হ্যাক করার ষড়যন্ত্রসহ অন্তত ১৭টি অভিযোগ এনেছে।
দেশ থেকে পালিয়ে বেশ কয়েক বছর তিনি লন্ডনে অবস্থিত ইকুয়েডরের দূতাবাসে বাস করেন। কিন্তু ইকুয়েডরের রাজনৈতিক পরিস্থিতির বদল ঘটলে সেই সুযোগটি হারান তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় দূতাবাস থেকে তাকে বের করে দেয়া হলে ২০১৯ সালের এপ্রিলে অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করে লন্ডনের পুলিশ।
এর পর থেকেই তাকে হস্তান্তর করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা।
নতুন এ রায়ের পর এখন যুক্তরাজ্যের ডিফেন্স সেক্রেটারি প্রিতি প্যাটেল ঠিক করবেন অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানো হবে কি না। নতুন এ রায়ের সমালোচনা করেছে মানবাধিকারবিষয়ক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।