করোনাভাইরাসের রূপ পরিবর্তিত নতুন ধরন ওমিক্রন পৌঁছেছে সুদূর উত্তর আমেরিকাতেও। কানাডার অটোয়াতে দুই ব্যক্তির দেহে শনাক্ত হয়েছে করোনার নতুন ধরনটি।
ওন্টারিও সরকার রোববার এক বিবৃতিতে জানায়, ওমিক্রনে আক্রান্ত দুজনই সম্প্রতি আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশ নাইজেরিয়া ভ্রমণ করে দেশে ফেরেন। তারা বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন। তাদের সংস্পর্শে যাওয়া ব্যক্তিদেরও খুঁজে বের করা হচ্ছে।
সিবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দুই সপ্তাহের মধ্যে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের দেশ ভ্রমণ করে কানাডায় পৌঁছানো বিদেশি নাগরিকদের ওপর নতুন ভ্রমণ নীতিমালা জারি করেছে সরকার। এর মধ্যেই দেশটিতে ওমিক্রন শনাক্তের খবর এলো।
নতুন ভ্রমণ নীতিমালা কার্যকর হয়েছে গত শুক্রবার। সাউথ আফ্রিকার গবেষকরা ওমিক্রন ভাইরাসটি প্রথম চিহ্নিত করেছেন। বর্তমানে বিশ্বের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভাইরাসটি।
করোনার নতুন এ ধরনটি সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য জানা যায়নি। তবে এটিতে বিপুলসংখ্যক পরিবর্তন চিহ্নিত করেছেন গবেষকরা, যার ভিত্তিতে একে উদ্বেগের কারণ বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
সাউথ আফ্রিকার একটি প্রদেশে করোনা সংক্রমণ হঠাৎ বেড়ে চলার কারণ হিসেবেও দায়ী করা হচ্ছে ওমিক্রনকে।
কিন্তু আসলে ওমিক্রন করোনার অন্য প্রজাতিগুলোর তুলনায় অধিক সংক্রামক বা বিপজ্জনক কি না, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা।
এমন পরিস্থিতিতে ওন্টারিওর প্রাদেশিক সরকার জনগণের প্রতি দ্রুত করোনা প্রতিরোধী টিকা গ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।
যদিও নতুন ধরনটি করোনার বিদ্যমান টিকার কার্যক্ষমতাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম বলে শঙ্কা জোরালো হচ্ছে।
বতসোয়ানা থেকে ভাইরাসটি সাউথ আফ্রিকায় পৌঁছানোর পর এর বিষয়ে জানতে পারে বিশ্ব। এরপর যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, ইসরায়েল, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে শনাক্ত হয়েছে ওমিক্রন।