বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডেল্টার চেয়ে বিপজ্জনক ওমিক্রন?

  •    
  • ২৯ নভেম্বর, ২০২১ ১০:০২

ডব্লিউএইচওর তথ্য অনুযায়ী, আগে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তারা ওমিক্রনেও আক্রান্ত হতে পারেন বলে প্রাথমিক গবেষণায় ধারণা করা হচ্ছে। অর্থাৎ কোভিডে আক্রান্ত ব্যক্তিরা নতুন ধরন ওমিক্রনের সহজ শিকার হতে পারেন।

করোনাভাইরাসের রূপ পরিবর্তিত নতুন ধরন বি.ওয়ান.ওয়ান.ফাইভটুনাইনকে চলতি সপ্তাহে ওমিক্রন নাম দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২০১৯ সালে চীনের উহানে শনাক্ত কোভিড নাইনটিনের চেয়ে ওমিক্রন একেবারেই আলাদা।

কোভিডের ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ধরনগুলোর মধ্যে এর আগে সবচেয়ে উদ্বেগজনক হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছিল ডেল্টাকে। ওমিক্রনের অস্তিত্ব শনাক্তের পর থেকে সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্নটি শোনা যাচ্ছে, তা হলো ওমিক্রন ডেল্টার চেয়েও বিপজ্জনক কি না।

বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়তে থাকার মধ্যেই ডব্লিউএইচও রোববার ওমিক্রনের বিষয়ে সবশেষ সংগৃহীত কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে।

ওমিক্রনের মধ্যে অনেক পরিবর্তন শনাক্ত হয়েছে, যা ভাইরাসটির আচরণেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত করা সাউথ আফ্রিকার স্বাস্থ্যবিদদের মতে, এখন পর্যন্ত অর্ধশত পরিবর্তন শনাক্ত হয়েছে নতুন ধরনে। এর বহিঃ আবরণীতে থাকা আমিষের যে অংশটি ভাইরাসকে কোষের সঙ্গে যুক্ত থাকতে সাহায্য করে, সেই ‘স্পাইক প্রোটিন’-এর সংখ্যা ৩০টি।

করোনা প্রতিরোধী টিকা মূলত ভাইরাসের এই ‘স্পাইক প্রোটিন’কেই আক্রমণ করে। কারণ ‘স্পাইক প্রোটিন’ ব্যবহার করেই ভাইরাসটি দেহের কোষে প্রবেশের পথ উন্মুক্ত করে।

ভাইরাস তার যে অংশ ব্যবহার করে প্রথমবার মানবদেহের কোষের সংস্পর্শে আসে, করোনার নতুন ধরনেই সেই অংশে ১০টি পরিবর্তন শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়ানো আগের ধরনটি, অর্থাৎ করোনার ডেল্টা ভাইরাসে এ পরিবর্তনের সংখ্যা ছিল মাত্র দুই।

ফলে এসব পরিবর্তন ওমিক্রনকে আরও সহজে ও দ্রুত সংক্রমণযোগ্য করে তুলেছে কি না, কিংবা আরও গুরুতর অসুস্থতার কারণ হতে পারে কি না ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা।

ডব্লিউএইচওর তথ্য অনুযায়ী, আগে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তারা ওমিক্রনেও আক্রান্ত হতে পারেন বলে প্রাথমিক গবেষণায় ধারণা করা হচ্ছে। অর্থাৎ কোভিডে আক্রান্ত ব্যক্তিরা নতুন ধরন ওমিক্রনের সহজ শিকার হতে পারেন।

ডেল্টাসহ করোনার অন্য ধরনগুলোর তুলনায় ওমিক্রন ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে অধিক সংক্রামক কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আপাতত কেবল আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে পরীক্ষার মাধ্যমেই নতুন ধরনটি শনাক্ত করা সম্ভব।

টিকার ওপর এই ভ্যারিয়েন্টটির প্রভাব খতিয়ে দেখতেও কাজ শুরু করেছে ডব্লিউএইচও।

ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কতটা, সে বিষয়টিও স্পষ্ট হয়নি। উপসর্গের দিক থেকে করোনার অন্য ধরনগুলোর চেয়ে ওমিক্রন আলাদা কি না, সে বিষয়েও কোনো তথ্য মেলেনি।

প্রাথমিক তথ্য অবশ্য বলছে যে সম্প্রতি সাউথ আফ্রিকায় করোনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে শুধু ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার চেয়ে বরং এ ক্ষেত্রে সামগ্রিকভাবে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণেও হতে পারে এটি।

এ বিভাগের আরো খবর