বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিতর্কিত ৩ কৃষি আইন বাতিল করছে ভারত

  •    
  • ১৯ নভেম্বর, ২০২১ ১১:১৪

জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে মোদি বলেন, ‘আমাদের তপস্যায় হয়ত কোনো ঘাটতি ছিল, যে কারণে কৃষকদের আইনগুলোর প্রয়োজন সম্পর্কে বোঝাতে পারিনি আমরা। তবে আমরা কাউকে দোষ দিই না। দেশবাসীকে জানাচ্ছি যে আমরা কৃষি আইন তিনটি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। যা আমি করছিলাম, তা কৃষকদের কল্যাণে ছিল। সারা দেশের জন্য সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করছি।’

ভারতে বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক বছরের বেশি সময় ধরে রাজপথে কৃষকদের অনড় অবস্থান, বিক্ষোভ-প্রতিবাদের পর এলো এ ঘোষণা।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে চমকে দেয়া এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন মোদি।

তিনি জানান, কৃষি আইনগুলো কার্যকরের বিষয়ে কৃষকদের সম্মত করাতে পারেনি বলে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত পাল্টাতে বাধ্য হয় সরকার।

তবে কৃষকদের কল্যাণই এসব আইনের লক্ষ্য ছিল দাবি করে মোদি বলেন, কৃষকদের ছোট একটি অংশ এসব আইনের বিরুদ্ধে ছিল। তাদের আইনগুলোর বিষয়ে যথাযথ ধারণা দিতে দীর্ঘদিন চেষ্টা চালিয়ে গেছে সরকার।

জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে মোদি বলেন, ‘আমাদের তপস্যায় হয়ত কোনো ঘাটতি ছিল, যে কারণে কৃষকদের আইনগুলোর প্রয়োজন সম্পর্কে বোঝাতে পারিনি আমরা। তবে আমরা কাউকে দোষ দিই না।

‘দেশবাসীকে জানাচ্ছি যে আমরা কৃষি আইন তিনটি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।

‘যা আমি করছিলাম, তা কৃষকদের কল্যাণে ছিল। সারা দেশের জন্য সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করছি।’

মোদির এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন কৃষক নেতা দর্শন পাল। তিনি বলেন, ‘কৃষকদের ঐক্য আর অব্যাহত আন্দোলনেই এ জয় এসেছে।’

তবে এখনই বাড়ি ফিরছেন না জানিয়ে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ তিকাইত বলেছেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ বন্ধ করছি না আমরা। পার্লামেন্টে পাস হওয়া আইন পার্লামেন্টে প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত থাকব রাজপথেই। কৃষকদের সঙ্গে আরও অনেক বিষয়েও আলোচনায় বসতে হবে সরকারকে।’

তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে কৃষকদের আন্দোলন চলছে। প্রায় এক বছর ধরে বাড়ি ফেরেননি বিক্ষোভরত কৃষকরা।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা আন্দোলন কৃষকদের এ বিক্ষোভ।

পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ ও রাজস্থান থেকে আসা লাখো কৃষক রাজধানী নয়া দিল্লিসংলগ্ন প্রধান মহাসড়কগুলোতে তাঁবু খাটিয়ে থাকছেন। তীব্র শীত, দাবদাহ, ঝড়-বৃষ্টি, এমনকি করোনাভাইরাস মহামারিসহ যাবতীয় প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে দাবি আদায়ে অনড় থেকেছেন তারা।

দীর্ঘ এ সময়ে প্রাণ গেছে আন্দোলনরত প্রায় ৭০০ কৃষকের।

২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে পার্লামেন্টে কৃষি আইন তিনটি পাস করে নরেন্দ্র মোদির সরকার। কৃষকদের দাবি, এসব আইনের ফলে বস্তুত কৃষি খাতের বেসরকারীকরণ ঘটবে এবং খাতটি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়বে। কারণ আইনগুলোতে সরকার নিয়ন্ত্রিত পাইকারি বাজারের চেয়েও কম দামে পণ্য কেনার সুযোগ দেয়া হয়েছে ক্রেতাদের। এতে উৎপাদক পর্যায়ে ন্যূনতম দামও মিলবে না বলে শঙ্কা কৃষকদের।

ক্ষুদ্র চাষিদের মতে, বড় বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে দৌড়ে পিছিয়ে পড়বেন তারা। এতে গম ও চালের মতো প্রধান শস্যগুলো অনেক কম দামে বিক্রি করতে হবে তাদের।

যদিও মোদি সরকারের দাবি ছিল, কৃষি আইন সংস্কারের ফলে কৃষকদের জন্য নতুন সুযোগ ও ভালো দাম পাওয়ার পথ উন্মুক্ত হবে।

১৩০ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারতের অর্ধেক বাসিন্দাই জীবিকা অর্জনের জন্য কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। দেশটির দুই দশমিক সাত ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির প্রায় ১৫ শতাংশই কৃষিনির্ভর।

এ বিভাগের আরো খবর