রাজ্যের পাওনা আদায়ে দিল্লি যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বকেয়া আদায়ের দাবির পাশাপাশি তিনি সীমান্তরক্ষীদের ক্ষমতা বাড়ানোসহ নানা ইস্যুতে রাজ্যের অবস্থান তুলে ধরবেন।
মমতার তিন দিনের দিল্লি সফর ২২ নভেম্বর শুরু হচ্ছে বলে সরকারি সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে দিল্লিতে কার কার সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হবে ২৯ নভেম্বর। সেখানে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে সরব হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার আগেই ২২ নভেম্বর তৃণমূল নেত্রীর দিল্লি যাত্রা ভিন্ন বার্তা দিচ্ছে।
সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, মমতা দিল্লি সফর শেষে কলকাতা ফিরবেন ২৫ নভেম্বর। সফরের সময় মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হতে পারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও। সেখানে রাজ্যের বকেয়া পাওনা নিয়ে অভাব অভিযোগ জানাবেন মমতা। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা, করের টাকা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিপূরণসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে রাজ্যের।
এছাড়া মোদি-মমতা বৈঠকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফের কাজের এলাকা বাড়ানোর বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে। নিজের ও রাজ্যের আপত্তির বিষয় তুলে ধরবেন মমতা।
সূত্রের দাবি, দিল্লি সফরে কেন্দ্রের একাধিক দপ্তরে বৈঠকের সম্ভবনা রয়েছে মমতার। মোদির সাক্ষাৎ না পেলে মমতা সংশ্লিষ্ট দপ্তরেই জমা দেবেন পশ্চিমবঙ্গের অভাব-অভিযোগ।
আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে দেশের ভেতরে ৫০ কিলোমিটার এলাকা বিএসএফের কাজের এখতিয়ার বাড়িয়ে সম্প্রতি নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। আগে যা ছিল ভারতীয় ভূখণ্ডের ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। এ সীমার ভেতরে ঢুকে বিএসএফ কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার, আটক বা মালামাল বাজেয়াপ্ত করতে পারবে। বিএসএফের এ কর্তৃত্বের সীমা বাড়ানো নিয়ে আপত্তি তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্য বিধানসভায় চলতি সপ্তাহে এ বিষয়ে একটি বিল পাস হওয়ার কথা।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এর আগে বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে আপত্তি তুলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন।
দিল্লি সফরে গেলে তৃণমূল নেত্রী মমতা সাক্ষাৎ করেন বিজেপিবিরোধী অন্য দলগুলোর কেন্দ্রীয় নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে। এবারও তা নিয়ে জল্পনা থাকলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। বিশেষ করে মমতার দিল্লি সফরকালে কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও বৈঠক হয় কিনা সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাজনৈতিক মহলের।