বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রথম সমকামী বিচারক পেতে পারে ভারত

  •    
  • ১৬ নভেম্বর, ২০২১ ১৫:৩৭

লিঙ্গ পরিচয়ের কারণে বারবার আটকে গেছেন কিরপাল। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয় বলে কিরপালের নিয়োগের বিরুদ্ধে অবস্থান অনেক বিচারকের। আবার কিরপালের পেছনে ইউরোপীয় মিত্র ও সুইস দূতাবাসের সমর্থন থাকায় তার নিয়োগ আটকে রাখা নিয়ে সরকারের ভেতরেও উদ্বেগ ছিল।

ভারতের রাজধানী দিল্লির উচ্চ আদালতে বিচারক হিসেবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সৌরভ কিরপালের নাম সুপারিশ করা হয়েছে। তিনি নিয়োগ পেলে ভারতের ইতিহাসে প্রথম সমকামী আইনজীবী পাবে দিল্লি হাইকোর্ট।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেকদিন ধরেই দিল্লির উচ্চ আদালতের বিচারক হিসেবে কিরপালের নিয়োগ আটকে ছিল।

চলতি বছরের মার্চ মাসে তৎকালীন ভারতীয় প্রধান বিচারপতি এসএ বোবড়ে এ বিষয়ে একটি আদেশও জারি করেন। আদেশে কিরপালের বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।

অবশেষে দীর্ঘ বিলম্বের পর কিরপালকে নিয়োগের সুপারিশ করেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেল। সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যবিশিষ্ট কলেজিয়াম দিল্লি হাইকোর্টের বিচারক হতে সৌরভ কিরপালের বাধা নেই বলেও জানিয়েছেন।

ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা নেতৃত্বাধীন কলেজিয়ামটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজিয়াম।

কলেজিয়ামের বাকি দুই সদস্য হলেন বিচারপতি ইউইউ ললিত ও এএম খানউইলকার।

সরকারের মধ্যে মতবিরোধ থাকায় বেশ কয়েকবার সৌরভ কিরপালের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আটকে গিয়েছিল। মার্চে তৎকালীন প্রধান বিচারপতির আদেশ কিরপালের বিষয়ে চতুর্থ নির্দেশনা ছিল।

২০১৭ সালের অক্টোবরে প্রথমবার বিচারপতি গীতা মিত্তালের নেতৃত্বাধীন দিল্লি হাইকোর্টের একটি কলেজিয়াম প্রথমবার সৌরভ কৃপালের নাম সুপারিশ করেন।

পরে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম বিষয়টি কিছুদিন বিবেচনার জন্য সময় চান। পরে ২০১৯ সালের জানুয়ারি ও এপ্রিলে ফের সিদ্ধান্তটি পেছায়।

লিঙ্গ পরিচয়ের কারণে বারবার আটকে গেছেন কিরপাল। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয় বলে কিরপালের নিয়োগের বিরুদ্ধে অবস্থান অনেক বিচারকের।

আবার কিরপালের পেছনে ইউরোপীয় মিত্র ও সুইস দূতাবাসের সমর্থন থাকায় তার নিয়োগ আটকে রাখা নিয়ে সরকারের ভেতরেও উদ্বেগ ছিল।

সৌরভ কিরপালের বাবা বিচারপতি বিএন কৃপাল ২০০২ সালের মে থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ভারতের ৩১তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স থেকে রসায়নে স্নাতক সৌরভ কিরপাল অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন এবং ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি থেকে আইনে স্নাতকোত্তর হন।

ভারতে ফিরে আসার আগে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের সঙ্গে কাজ করেছেন সৌরভ কিরপাল। ভারতে আইন পেশায় তিনি রয়েছেন দুই দশকের বেশি সময় ধরে।

বেসামরিক, বাণিজ্যিক ও সাংবিধানিক আইনে বিশেষজ্ঞ সৌরভ কিরপাল ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৭৭ ধারার কয়েকটি আলোচিত মামলার আইনজীবী ছিলেন। ‘সেক্স অ্যান্ড দ্য সুপ্রিম কোর্ট’ নামে একটি বইও লিখেছেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর