২০১৯ সাল থেকেই যুক্তরাজ্যের লন্ডনের বেলমার্শ কারাগারে আছেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। এবার বন্দি অবস্থায়ই তিনি তার প্রেমিকা স্টেলা মরিসকে বিয়ে করার অনুমতি পেলেন।
শুক্রবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১২ সালে গ্রেপ্তার এড়াতে অ্যাসাঞ্জ লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। দূতাবাসে নির্বাসনে থাকা অবস্থায়ই স্টেলার সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে আবদ্ধ হন তিনি। এ সময় দূতাবাসের ভেতরেই তাদের প্রায় প্রতিদিন দেখা হতো। এরই ধারাবাহিকতায় অ্যাসাঞ্জের ঔরসে ইতোমধ্যেই দুই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন স্টেলা মরিস।
২০২০ সালে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের দুই সন্তান কোলে স্টেলা মরিস
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেয়া আইনজীবী স্টেলা মরিস জানান, ২০১১ সালে আইনি সহায়তা দিতে গিয়ে অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে তার প্রথম পরিচয়। পরে ২০১৫ সাল থেকে তারা প্রেম শুরু করেন। যদিও ওই সময়টিতে অ্যাসাঞ্জ ইকুয়েডর দূতাবাসে বন্দির মতো সময় কাটাচ্ছিলেন। কারণ দূতাবাসের বাইরে এলেই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে, এমন আশঙ্কা ছিল।
২০১৯ সালে সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়। ইকুয়েডরের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে দূতাবাস ছাড়তে হয় অ্যাসাঞ্জকে। পরে দূতাবাসের বাইরে অপেক্ষারত লন্ডনের পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। সেই সময় থেকেই বেলমার্শ কারাগারে আছেন অ্যাসাঞ্জ। এবার আশঙ্কা করছেন তাকে যেকোনো সময় যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়া হতে পারে। আফগানিস্তান এবং ইরাক যুদ্ধের স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁসের জের ধরে ৫০ বছর বয়সী এই অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিককে অনেক দিন ধরেই প্রত্যর্পণের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
বেলমার্শ কারাগারের এক মুখপাত্র জানান, স্বাভাবিক বন্দিদের মতোই অ্যাসাঞ্জের বিয়ের আবেদনকে আইন অনুযায়ী মঞ্জুর করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।