যুক্তরাষ্ট্রে এক নিখোঁজ কিশোরী বিপদে আছে, টিকটকের এক ভিডিওতে এমন সংকেতের মাধ্যমে সাহায্য চেয়ে হাত তুলতে দেখা যায় তাকে। ভিডিওটি টিকটকে ভাইরাল হওয়ার পর তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
দেশটির নর্থ ক্যারোলাইনা শহরে গত মঙ্গলবার তার মা-বাবা কিশোরীর নিখোঁজ হওয়ার একটি রিপোর্ট করেন। তার দুই দিন পর গত বৃহস্পতিবার কেন্টাকিতে একটি গাড়ির ভেতর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
বিবিসির খবরে বলা হয়, গাড়িতে থাকা অবস্থায় পারিবারিক নির্যাতনের শিকারের যে সংকেত সেটি ব্যবহার করে ১৬ বছরের ওই কিশোরী পাশ দিয়ে যাওয়া এক চালকের সহায়তা চায়।
কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা ৬১ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার করেছে।
লরেল কাউন্টি শেরিফের অফিস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম টিকটকে প্রচার পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়ে সহায়তা চাওয়ার সংকেত দেখে এক চালক পুলিশকে খবর দেন। চালক পুলিশকে জানান, এক কিশোরী এমন সংকেতের মাধ্যমে সহায়তা চেয়েছে।
ওই কলার খেয়াল করেন, এক বয়স্ক লোক গাড়ি চালাচ্ছিলেন এবং তার পাশে বসা কিশোরীটি খুব কষ্টে ছিল।
নাম প্রকাশ না করা ওই কিশোরী কর্মকর্তাদের জানায়, তাকে নর্থ ক্যারোলাইনা, টেনেসি, কেন্টাকি ও ওহাইও নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পরে পুলিশ ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গাড়ির চালক জেমস হার্বাট ব্রিক নামের ৬১ বছরের এক ব্যক্তিকে কেন্টাকির কাছ থেকে গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করে।
পুরো বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে বলেও জানায় কর্তৃপক্ষ।
কানাডিয়ান ওম্যানস ফাউন্ডেশনের মতে, হাতের ইশারা বা এক হাতের একটি নির্দিষ্ট সংকেত দেখায় সেটি মূলত কষ্টকর অবস্থা বোঝায়।
এখানে একটি সংকেত থাকে চারটি আঙুল দেখানো, যেখানে বৃদ্ধাঙ্গুল হাতের তালুতে থাকে। অন্য আরেকটি সংকেত হলো চারটি আঙুল দিয়ে বৃদ্ধাঙ্গুল হাতের তালুকে ধরে রাখা। এর অর্থ সে পারিবারিক সহিংসতার শিকার।
২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর পারিবারিক সহিংসতা বেড়ে যায়। সেই সহিংসতায় সহায়তা পেতে কানাডিয়ান সংস্থাটি এমন সংকেত প্রচার করে।