জ্বালানি তেলের দাম বাড়লেও পশ্চিমবঙ্গে বাড়েনি বাস ভাড়া। এ সমস্যা সমাধানে বাসমালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আগামী ১৭ নভেম্বর সে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারিতে বিধিনিষেধ আর পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বেসরকারি বাসমালিক সংগঠনগুলো ভাড়া বাড়ানোর জোরালো দাবি তুলেছে। রাজ্য সরকার বাস ভাড়া না বাড়ানোয় ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে দাবি মালিকদের।
নেই ভাড়ার চার্ট
এ মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে কোনো বেসরকারি বাস ভাড়ার চার্ট নেই। যেসব বাস সংগঠন কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন রুটে বাস চালাচ্ছে, তারা পুরোনো চার্টের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন স্ল্যাবে ৩ টাকা, ৫ টাকা, ১০ টাকা করে বাড়িয়ে নিয়েছে।
বর্তমানে পাবলিক বাস ও কলকাতার মিনি বাসে উঠলেই ভাড়া ১০ টাকা। পাবলিক বাস নিয়ে যাবে ৪ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত। একই ভাড়ায় মিনিবাস নিয়ে যাবে ৩ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত। পরের স্ল্যাব ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত পাবলিক বাসে ১৬ টাকা এবং ৯ কিলোমিটার পর্যন্ত মিনিবাসে ২০ টাকা ভাড়া।
বিবাদ নিয়মিত
ভাড়ার নির্দিষ্ট চার্ট না থাকায় প্রতিদিন যাত্রী ও বাসকর্মীদের মধ্যে ভাড়া নিয়ে বিবাদ লেগে থাকে। কোনো কোনো যাত্রীর অবশ্য বর্ধিত ভাড়া দিতে আপত্তি নেই। তাদের একজন আরাধনা সেন।
বিজন সেতু থেকে তিনি উঠেছেন ৩সি/১ বাসে। যাবেন রুবি হাসপাতাল।
আরাধনা বলেন, ‘৫ টাকা, ১০ টাকা বেশি দিতে হলেও এই পরিস্থিতিতে পরিষেবা যে পাচ্ছি, সেটাই অনেক।’
বেসরকারি বাস পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত রঞ্জিত শিকারি বলেন, ‘বাস চালিয়ে কোনো লাভ নেই; উল্টো ক্ষতি। বাসমালিকরা সব বাস বিক্রি করে দিচ্ছেন।’
সম্প্রতি পেট্রোল এবং ডিজেলের ১০ টাকা শুল্ক কমিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাতেও সমস্যার সুরাহা হয়নি।
রাজ্য সরকার বাস ভাড়া কম রেখে ডিজেলের বদলে সিএনজিচালিত বাস ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছে।
শনিবার টক টু কেএমসি অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের উত্তরে পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে ওদের নাভিশ্বাস উঠেছে। বাস কমে যাওয়ার কারণ জানতে ওদের চিঠি দেয়া হয়েছিল। সব সংগঠন চিঠি দিয়ে তাদের অবস্থান জানিয়েছে। বৈঠকে তাদের সমস্যার কথা শুনব।’
পরিবহন মন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের বাসমালিকরা যোগ দেবেন।
কলকাতায় রোববার লিটারপ্রতি পেট্রোলের দাম ছিল ১০৪ দশমিক ৬৭ টাকা। ওই দিন প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ছিল ৮৯ দশমিক ৭৯ টাকা।