দীর্ঘ ২০ মাস পর বিদেশি নাগরিকদের ওপর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধক সংস্থা (সিডিসি) জানায়, জরুরি ব্যবহারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনুমোদিত করোনা টিকার যেকোনো একটির ডোজ সম্পন্ন করলেই সেই সব বিদেশি নাগরিককে প্রবেশ করতে দেবে ফেডারেল সরকার।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার দুই ডোজ নেয়া ব্যক্তিদের ওপর সোমবার থেকে আর কার্যকর থাকছে না এই নিষেধাজ্ঞা।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ২০২০ সালের শুরুতে মেক্সিকো, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ভারত, চীন, ভারতসহ ৩৩টি দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ছাড়া অন্যদের দেশটিতে ঢোকার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর ছিল। সড়কপথে মেক্সিকো ও কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশও এই নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল।
পূর্বে ঘোষিত নীতিমালা অনুযায়ী, যেসব বিদেশি নাগরিকদের টিকার সনদ রয়েছে এবং ১৪ দিনের মধ্যে করা নমুনা পরীক্ষার নেগেটিভ ফল রয়েছে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আর কোন বাধা থাকছে না।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সময় ঘোষিত এই অপ্রত্যাশিত নিষেধাজ্ঞার ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগস্ত হয়েছে দেশটির পর্যটন খাত। একইসঙ্গে নতুন জন্ম নেয়া শিশুকে দেখা, আত্মীয়র সঙ্গে দেখা করা ও প্রিয়জনের সঙ্গে মিলিত হওয়া থেকেও বঞ্চিত ছিল হাজারো মানুষ।
বৈশ্বিক মহামারি পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে ২০২০ সালের মার্চে বিদেশি ভ্রমণকারীদের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। কার্যকর পদক্ষেপের ফলে সংক্রমণ, শনাক্ত ও মৃত্যু কমে আসায় সেসব নিষেধাজ্ঞার অবসান হয়েছে।
করোনাকালীন বিদ্যমান বিধিনিষেধ অনুযায়ী উল্লেখিত ৩৩টি দেশে ভ্রমণের ১৪ দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ নেই বিদেশি নাগরিকদের। এসব দেশের তালিকায় ছিল যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশ, চীন, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরান ও ব্রাজিল।
ডব্লিউএইচও অনুমোদিত যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং চীনের সিনোভ্যাক ও সিনোফার্মের টিকা গ্রহণকারীরা ৮ নভেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারছেন।