সদ্যঃপ্রয়াত পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দপ্তর কে সামলাবেন? নির্বাচিত না হয়েও অর্থমন্ত্রী হয়েছেন অমিত মিত্র। তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৯ নভেম্বর। কার হাতে যাবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব?
উল্লিখিত প্রশ্নগুলো ঘুরছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে। এগুলোর উত্তর মিলতে পারে মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে। কালই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গের বর্ষীয়ান রাজনীতিক সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পঞ্চায়েত দপ্তরের দায়িত্বে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও মানস ভূঁইয়ার নাম আলোচনায় উঠে এসেছে। শোভনদেব বর্তমানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। আর সেচ মন্ত্রণালয়ের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মানস ভূঁইয়া জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন।
এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার হাতে পঞ্চায়েত দপ্তর তুলে দেবেন, তা নিয়ে চলছে আলোচনা।
গুরুতর অসুস্থ সাধন পান্ডের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের দায়িত্বও সামলাচ্ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সেই দপ্তর কে সামলাবে, সেটিও আলোচনার বাইরে নয়।
অমিত মিত্র অসুস্থতার জন্য ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করেও অর্থমন্ত্রী হয়েছেন। ১০ মে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি। ৯ নভেম্বর সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে। অমিতের সেই অর্থ দপ্তর কার হাতে যাবে, তা জানতে আগ্রহী অনেকেই।
রাজনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ অর্থ দপ্তর নিজের হাতে রাখতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে থেকে যাবেন অমিত মিত্র।
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রমন্ত্রী করা হতে পারে। পুর দপ্তর ফিরে যেতে পারে পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের হাতে।
সদ্য শেষ হওয়া পশ্চিমবঙ্গের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কোচবিহার দিনহাটা কেন্দ্রে ১ লাখ ৬৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন উদয়ন গুহ। তিনি এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন।