যুক্তরাষ্ট্রের সাড়ে পাঁচ হাজার মাইল দীর্ঘ গ্যাস পাইপলাইনে হামলা চালিয়েছে একটি হ্যাকার গ্রুপ। এতে বন্ধ হয়ে গেছে ওই লাইনে থাকা সব গ্যাস পাম্প।
গ্যাসলাইন খুলে দিতে বিটকয়েনে মুক্তিপণ দাবি করেছে ডার্কসাইড নামের হ্যাকার গ্রুপটি। এরই মধ্যে হ্যাকারদের ৪৪ লাখ ডলার মুক্তিপণও দিয়েছে। তবুও স্বাভাবিক হয়নি পাইপলাইন।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ঘোষণা করেছে, কেউ যদি ডার্কসাইড হ্যাকার গ্রুপ সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারে, তাকে পুরস্কার হিসেবে এক কোটি ডলার পুরস্কার দেবে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলীয় পশ্চিমাঞ্চলে এই দীর্ঘ পাইপলাইনটি অবস্থিত। ওই অঞ্চলের মোট জ্বালানির ৪৫ শতাংশই সরবরাহ করা হয় ওই পাইপলাইনের মাধ্যমে।
দেশটির সরকার এই পুরস্কার ঘোষণা করেছে ডার্কসাইডের নেতৃস্থানীয়, তার সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তি, তাদের অবস্থান কিংবা পরিচিতিমূলক যেকোনো তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে।
এমনকি তার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা গেলে আরও ৫০ লাখ ডলার দেয়ার ঘোষণাও দেয়া হয়েছে।
সাইবার হামলার পর গত কয়েক দিন থেকেই ওই অঞ্চলে জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানি তাদের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে।
অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ৪৪ লাখ ডলার মুক্তিপণ বিটকয়েনে দেয়ার কথা বললেও এর পরিমাণ বেশি বলে জানাচ্ছে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিশ্লেষক এক প্রতিষ্ঠান।
এলিপটিক নামের বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠানটি বলছে, তারা এখন পর্যন্ত বিভিন্ন কোম্পানির মুক্তিপণ হিসেবে হ্যাকারদের ৯০ লাখ ডলার দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পেরেছে।
পরে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র সরকার জানায়, বিভিন্ন কোম্পানি মিলিয়ে ৬৩ দশমিক ৭ বিটকয়েন মুক্তিপণ হিসেবে দিলেও হ্যাকাররা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে দেয়নি।
হ্যাকারদের সম্পর্কে তথ্য জানতে দেশটির সরকারের ঘোষণা করা এটাই সবচেয়ে বড় পুরস্কার। এর আগে ২০১৯ সালে একটি সাইবার হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার ৩ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।