সৌদি আরবের কাছে ৬৫ কোটি ডলারের যুদ্ধাস্ত্র বিক্রির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ অনুমোদন দিয়েছে বলে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানায় প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে এটি প্রথম কোনো বড় অস্ত্র চুক্তি। চুক্তি অনুযায়ী, এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল রিয়াদকে দেবে ওয়াশিংটন। উড়োযান থেকে ছুড়ে মাঝ আকাশে অন্য উড়োযান ও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসে ব্যবহার করা হয় এ ধরনের অস্ত্র।
মাঝারি দূরত্ব অতিক্রমে সক্ষম অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এ অস্ত্রের সঙ্গে দেয়া হবে এটি ব্যবহারে প্রয়োজনীয় অন্যান্য সরঞ্জামও।
পেন্টাগন জানিয়েছে, নিজস্ব নিরাপত্তা জোরদারে সৌদি আরব এ অস্ত্র কিনছে। মিত্র রিয়াদকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলায় সহযোগিতার জন্য এ পদক্ষেপ নিয়েছে ওয়াশিংটন।
ইয়েমেনে চলমান আগ্রাসনে সৌদি আরবকে যুক্তরাষ্ট্র আর সমর্থন দেবে না বলে জো বাইডেনের ঘোষণার কয়েক মাস পরই এলো অস্ত্র বিক্রির এ খবর। ওই ঘোষণায় রিয়াদের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের কথাও বলেছিলেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক-সামরিক ব্যুরো বলছে, রিয়াদকে যে অস্ত্র দেয়া হচ্ছে, তা স্থল অভিযানে ব্যবহারযোগ্য নয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ব্যুরোর পক্ষ থেকে লেখা হয়, ‘গত এক বছরে সীমান্তের ওপার থেকে সৌদি ভূখণ্ডে হামলা বেড়েছে। এসব হামলা পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থানরত আমেরিকান সেনা এবং সৌদি আরবে বসবাসরত ৭০ হাজারের বেশি আমেরিকান নাগরিকের জন্যও হুমকি। এ হুমকি ঠেকাতে সহায়ক হবে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত।’
অস্ত্র বিক্রির জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন দরকার হবে না। তবে আমেরিকান পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেট ও নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে অননুমোদন বিল পাসের মাধ্যমে চুক্তিটি আটকে দেয়ার ক্ষমতা আছে আইনপ্রণেতাদের।
এর আগে সেপ্টেম্বরে সৌদি আরবকে হেলিকপ্টার রক্ষণাবেক্ষণে সহযোগিতায় ৫০ কোটি ডলারের চুক্তিতে অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্র।