বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রেললাইন নির্মাণের সময় বেরিয়ে এলো মায়া সভ্যতার শিল্পকর্ম

  •    
  • ২৫ অক্টোবর, ২০২১ ১২:১১

মেক্সিকোর জাতীয় নৃতত্ত্ব ও ইতিহাস সংস্থার (আইএনএএইচ) পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘মায়া রেললাইনে গবেষকরা এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার প্রাক-হিস্পেনিক কাঠামো, ৮০টি কবরস্থান, হাজার হাজার সিরামিকের পাত্র ও খণ্ড আবিষ্কার করেছেন।

মেক্সিকোতে প্রায় দেড় হাজার বছর আগের মায়া সভ্যতার শত শত শিল্পকর্ম সম্প্রতি আবিষ্কার করেছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। দেশটির ইয়ুকাতান পেনিনসুলায় নির্মাণাধীন একটি রেল প্রকল্পে ওই সব শিল্পকর্মের খোঁজ মেলে বলে জানান তারা।

সিএনএনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

মেক্সিকোর জাতীয় নৃতত্ত্ব ও ইতিহাস সংস্থার (আইএনএএইচ) পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘মায়া রেললাইনে গবেষকরা এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার প্রাক-হিস্পেনিক কাঠামো, ৮০টি কবরস্থান, হাজার হাজার সিরামিকের পাত্র ও খণ্ড আবিষ্কার করেছেন।’

জিপিএস জিওরেফারেন্সিং, স্যাটেলাইট টোপোগ্রাফিক ইমেজ ও এলআইডিএআর সেন্সরের সাহায্যে ওই শিল্পকর্মগুলোর সন্ধান পাওয়া যায়।

আইএনএএইচের প্রত্নতত্ত্ববিদ ইলিয়েনা ইচাউরি পেরেজ ও ইলিয়ানা অ্যানকোরা আরাগন বলেন, ‘প্রত্নতাত্ত্বিক শিল্পকর্মগুলো কয়েক শতাব্দী আগের মায়া সভ্যতার মানুষের দৈনন্দিন জীবন, বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক বিনিময় সম্পর্ক সম্বন্ধে আমাদের জ্ঞান আরও বিস্তৃত করবে।’

আইএনএএইচের পক্ষ থেকে বলা হয়, সদ্যো-আবিষ্কৃত শিল্পকর্মগুলো কয়েকজন গবেষকের মধ্যে বিশেষ আগ্রহের জন্ম দিয়েছে। প্রোটোক্লাসিক যুগের নারীর স্তনের মতো দেখতে একটি পাত্র এগুলোর মধ্যে অন্যতম।

প্রত্নতাত্ত্বিকরা মনে করছেন, মায়া সভ্যতার ক্ষমতাসীন অভিজাত শ্রেণি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বা ধর্মীয় আলোচনার সময় ওই সব পাত্র ব্যবহার করত। চকলেট ও সুগন্ধি দ্রব্যের মতো মূল্যবান তরল পদার্থ পাত্রগুলোতে রাখা হতো।

গবেষকদের প্রাথমিক বিশ্লেষণ বলছে, খ্রিষ্টের জন্মের ৭০০ বছর আগে (মধ্য প্রিক্লাসিক যুগ) থেকে খ্রিষ্টের জন্মের সাড়ে আট শ বছর (ক্লাসিক যুগের শেষে) পর পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে মায়া সভ্যতা টিকে ছিল।

গবেষকরা বলেন, ‘রেললাইনটি নির্মাণের ফলে মায়া সভ্যতা ঘিরে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার পথ উন্মোচিত হয়েছে। মেক্সিকোর যেসব অঞ্চলে ওই রেললাইন বসানো হবে, সেখানে আরও পুরাকীর্তি আবিষ্কারের সম্ভাবনার পাশাপাশি মায়া সভ্যতা সম্পর্কে আমাদের জানাবোঝা আরও বাড়বে।’

অবশ্য রেললাইন প্রকল্প নিয়ে সমালোচকদের ভাষ্য, এ প্রকল্প সম্ভাব্য প্রত্নতাত্ত্বিক জায়গা ও পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

এ বিষয়ে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর জানান, পাঁচটি অঙ্গরাজ্যের ভেতর দিয়ে যাওয়া রেললাইন প্রকল্প এমনভাবে করা হয়েছে, যাতে পরিবেশের কোনো ক্ষতি না হয়। এ ছাড়া এর মাধ্যমে পর্যটন শিল্পেরও বিকাশ ঘটবে।

এ বিভাগের আরো খবর