বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সৌরজগতের উৎপত্তি জানতে মহাকাশযান পাঠাল নাসা

  •    
  • ১৭ অক্টোবর, ২০২১ ১১:৫৯

নাসার এই অভিযানের মূল বিজ্ঞানী হাল লেভিসন বলেন, ‘ট্রোজান গ্রহাণুর বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় যেটি আমরা জানতে পারি তা হলো, এরা পরস্পরের থেকে অনেক ভিন্ন। বিশেষ করে এদের রং একে অপরের থেকে একদম আলাদা।’

বৃহস্পতি গ্রহের ট্রোজান গ্রহাণু সম্পর্কে জানতে ১২ বছর দীর্ঘ উচ্চাভিলাষী অভিযানের অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো মহাকাশযান পাঠিয়েছে নাসা।

প্রাক-মানব পূর্ব পুরুষের প্রাচীন এক জীবাশ্ম লুসির নাম দেয়া ওই মহাকাশযানটি সৌরজগতের গঠন ও উৎপত্তি সম্পর্কে নতুন ধারণা দেবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেইপ ক্যানাভেরাল থেকে ওই মহাকাশযান পাঠানো হয়।

লুসি হচ্ছে প্রথম সৌরশক্তিচালিত মহাকাশযান, যেটি সূর্য থেকে এত দূরে পাড়ি দিয়েছে। অন্যান্য মহাকাশযানের চেয়ে এটি আরো বেশি গ্রহাণু সম্পর্কে তথ্য দেবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

নাসার সায়েন্স মিশনের সহযোগী প্রশাসক টমাস জারবুচেন বলেন, ‘বৃহস্পতি গ্রহের ট্রোজান গ্রহাণুর প্রতিটি সৌরজগতের পাশাপাশি পৃথিবীর সৃষ্টি সম্পর্কে তথ্য দেবে।’

২০২৫ সালে মঙ্গল ও বৃহস্পতির মধ্যবর্তী গ্রহাণু ডোনাল্ড জোহানসনের সঙ্গে প্রথম দেখা হবে লুসির। লুসি ফসিল আবিষ্কারকের নাম অনুযায়ী ওই গ্রহাণুর নাম রাখা হয়।

২০২৭ থেকে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত সাতটি ট্রোজান গ্রহাণুর সামনাসামনি হবে লুসি।

ওই সব গ্রহাণুর মধ্যে সবচেয়ে বড়টির ব্যাস প্রায় ৬০ মাইল।

গ্রহাণুগুলোর পৃষ্ঠের আড়াই শ মাইলের মধ্যে অবস্থান করবে লুসি। ওই সব গ্রহাণুর গঠন, ভর, ঘনত্ব, আয়তনসহ ভূ-তত্ত্ব বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও লম্বা অ্যান্টেনার সাহায্যে অনুসন্ধান করবে লুসি।

ধারণা করা হয়, বৃহস্পতির ট্রোজান গ্রহাণুর সংখ্যা সাত হাজারের বেশি। আমাদের সৌরজগতের বিশাল গ্রহ বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুন গঠনের সময় অবশিষ্ট কাঁচামাল থেকে ওই সব গ্রহাণু সৃষ্টি হয়।

বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, পৃথিবীসহ সব গ্রহের গঠন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দেবে বৃহস্পতির ট্রোজান গ্রহাণু।

নাসার এই অভিযানের মূল বিজ্ঞানী হাল লেভিসন বলেন, ‘ট্রোজান গ্রহাণুর বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় যেটি আমরা জানতে পারি তা হলো এরা পরস্পরের থেকে অনেক ভিন্ন। বিশেষ করে এদের রং একে অপরের থেকে একদম আলাদা।’

এ বিভাগের আরো খবর