আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের ৫০ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কর্মক্ষেত্র বাড়িয়ে দিতে বিজেপি সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয়েছে তৃণমূলও।
বুধবার ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়, আন্তর্জাতিক সীমান্ত থাকা রাজ্যগুলোতে বিএসএফের ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে ২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করা হয়েছে।
অসম, পশ্চিমবঙ্গ এবং পাঞ্জাবের ভারত-পাকিস্তান, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় ভূখণ্ডের ৫০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে কাজ করতে পারবে বিএসএফ। আগে যা ছিল ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। নতুন নির্দেশিকার ফলে, বিএসএফের ক্ষমতা বাড়বে। ৫০ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত গ্রেপ্তার, বাজেয়াপ্ত এবং তল্লাশি করতে পারবে তারা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক অঙ্গনে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। কেন্দ্রের দাবি, জাতীয় সুরক্ষার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত। যদিও বিরোধীদের দাবি, পিছনের দরজা দিয়ে রাজ্যের অধিকারে নাক গলাচ্ছে কেন্দ্র।
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ বৃহস্পতিবার টুইট বার্তায় জানান, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যেভাবে বিএসএফের কর্মক্ষেত্র ১৫ কিলোমিটার থেকে বদলে, বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করলো তা প্রতিবাদযোগ্য। এটা রাজ্যের অধিকারভুক্ত এলাকায় পিছনের দরজা দিয়ে নাক গলানো। তৃণমূল কংগ্রেস এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে। যথাযথভাবে বক্তব্য জানানো হবে।’
পাঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি জানান, কেন্দ্রের এই একতরফা নির্দেশকে ভারতীয় ফেডারেল স্ট্রাকচারের ওপর আঘাত বলে মনে করেন তিনি।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের প্রধান কাজ সীমান্ত পাহারা দেয়া এবং অনুপ্রবেশ রুখে দেয়া। কিন্তু বিএসএফের কার্যক্ষেত্র বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে তাদের নতুন সমস্যা তৈরি হবে।
ফলে যে রাজ্যে বিজেপি সরকার নেই, সেখানে কেন্দ্র-রাজ্য রাজনৈতিক লড়াই বাড়বে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল। কেননা রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পুরোপুরি রাজ্য সরকারের।