বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বোমা বিস্ফোরণে নিহত তালেবান কমান্ডার

  •    
  • ১৪ অক্টোবর, ২০২১ ১৫:৩৫

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তালেবানের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কুনার প্রদেশের রাজধানী আসাদাবাদে ওই বোমা হামলা হয়। তালেবানের ওই কমান্ডার প্রদেশের শিগাল জেলার পুলিশপ্রধান ছিলেন। তাকে লক্ষ্য করেই হামলাটি হয়।’

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় কুনার প্রদেশে বোমা বিস্ফোরণে তালেবানের এক কমান্ডার নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১১ জন।

বৃহস্পতিবার ওই ঘটনা ঘটে বলে প্রাদেশিক কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তালেবানের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কুনার প্রদেশের রাজধানী আসাদাবাদে ওই বোমা হামলা হয়। তালেবানের ওই কমান্ডার প্রদেশের শিগাল জেলার পুলিশপ্রধান ছিলেন। তাকে লক্ষ্য করেই হামলাটি হয়।’

কুনারের কেন্দ্রীয় হাসপাতালের এক চিকিৎসক এএফপিকে জানান, বোমা হামলায় আহত ১১ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে তালেবানের চার যোদ্ধা ও সাত বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন।

এখন পর্যন্ত বোমা হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।

তবে গত দুই মাসে আফগানিস্তানের কয়েকটি অঞ্চলে হামলার দায় নেয় নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আফগান শাখা আইএস-খোরাসান।

গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর আফগানিস্তানের কুন্দুজ প্রদেশে এক শিয়া মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় প্রায় ১০০ মানুষের প্রাণহানি হয়। ওই ঘটনায় আহত হয় অনেকে।

এর আগে আগস্টের শেষ সপ্তাহে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি নাগরিক চলে যাওয়ার শেষ সময়ে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ সেনাসহ ১৭০ আফগান বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়। আহত হয় অনেকে।

সাম্প্রতিক অন্যান্য হামলার মতো বড় ধরনের ওই দুটি হামলার দায় নিয়েছিল আইএস-খোরাসান।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ সালে আফগানিস্তানে কাজ করা শুরু করে আইএস-খোরাসান বা সংক্ষেপে আইএস-কে।

২০১৪ সালে আইএসের তৎকালীন প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদির প্রতি আনুগত্য জানান পাকিস্তানি হাফিজ সাঈদ খান।

সাঈদের হাত ধরে বেশির ভাগ পাকিস্তানি যোদ্ধা নিয়ে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশে ছোট সংগঠন হিসেবে আইএস-কের কর্মকাণ্ড শুরু হয়।

পাকিস্তানি তালেবান ও আফগান তালেবানের কয়েকজন যোদ্ধাও ওই সময় আইএস-কেতে যুক্ত হয়।

ইরাক ও সিরিয়ায় ঘাঁটি থাকা আইএসের মতো আইএস-কেও আফগানিস্তানের পুরো অঞ্চল দখল করতে চায়।

আফগানিস্তানে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নৃশংস হামলার জন্য সুপরিচিত আইএস-কে। শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষজন প্রায়ই তাদের হামলার শিকার হয়। এ মুহূর্তে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে বেশ সক্রিয় আইএস-কে।

এ বিভাগের আরো খবর