বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইরাকের নির্বাচনে এগিয়ে শিয়া নেতা আল-সদর

  •    
  • ১২ অক্টোবর, ২০২১ ২১:২৪

যৌথ বিবৃতিতে ফাতাহ জোটসহ বিভিন্ন সংগঠন মঙ্গলবার ভোটের ফল পুনর্গণনার আবেদন জানানো হবে বলে জানিয়েছে এবং ফল প্রত্যাখ্যান করেছে। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা হায়দার আল-আবাদি স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভোট কারচুপি রোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবো আমরা।’

ইরাকের সাধারণ নির্বাচনের ভোটগণনায় প্রাথমিকভাবে বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছে শিয়া ধর্মীয় নেতা মুক্তাদা আল-সদরের দল। পার্লামেন্টে দলটি আগের চেয়েও বেশি আসন পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানপন্থি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র গোষ্ঠী নির্বাচনের প্রাথমিক ফল প্রত্যাখ্যান করেছে এবং ভোট কারচুপির অভিযোগ করেছে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে রোববারের ভোটে ভোটার উপস্থিতি ছিল রেকর্ড নিম্ন ৪১ শতাংশ। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা অভিযানে ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশটিতে এটি পঞ্চম সাধারণ নির্বাচন।

প্রাথমিক ফল অনুযায়ী, ৩২৯ আসনের পার্লামেন্টে আল-সদরের দলের আসনসংখ্যা বেড়ে ৭৩ হতে পারে। আসনসংখ্যা কমেছে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত ইরানপন্থি রাজনৈতিক জোট হাশদ আল-শাবির।

পার্লামেন্টে আগের দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ফাতাহ জোটএর আসনসংখ্যা ৪৮ থেকে কমে ১২তে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

যৌথ বিবৃতিতে ফাতাহ জোটসহ বিভিন্ন সংগঠন মঙ্গলবার ভোটের ফল পুনর্গণনার আবেদন জানানো হবে বলে জানিয়েছে এবং ফল প্রত্যাখ্যান করেছে।

২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা হায়দার আল-আবাদি স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভোট কারচুপি রোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবো আমরা।’

ইরাকের ইরানপন্থি অন্যতম প্রভাবশালী সংগঠনের নেতা হাদি আল-আমিরি বলেন, ‘এই ভুয়া ফল আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। এর জন্য যা পরিণতি ভোগ করতে হয়, করব।’

ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে হাশদের অন্যতম প্রভাবশালী সংগঠন হিজবুল্লাহ ব্রিগেডও।

স্বঘোষিত খিলাফত ঘোষণা করা জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে পরাজিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা হাশদ জোট গঠিত হয় ২০১৪ সালে। হাশদের সঙ্গে যোগসূত্র থাকা অনেক আইনপ্রণেতা ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হন।

২০২২ সালে ইরাকের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুর্নীতি, বেকারত্বসহ নানা সংকটে দুই বছর ধরে চলতে থাকা সহিংস সরকারবিরোধী আন্দোলনের জেরে আগাম নির্বাচন দেন প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাদিমি।

এ বিভাগের আরো খবর