নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অন্যতম শীর্ষ নেতা সামি জসিম ইরাকে আটক হয়েছেন। নিহত আইএসপ্রধান আবু বকর আল-বাগদাদির উপ-প্রধান ছিলেন জসিম।
২০১৯ সালে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর অভিযানে নিহত হন আইএসের প্রতিষ্ঠাতা বাগদাদি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে সামি জসিমকে আটকের খবর সোমবার নিশ্চিত করেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাদিমি।
তিনি লেখেন, ‘আমাদের বীরোচিত ইরাকি সেনারা দেশে নিরাপদ সাধারণ নির্বাচন নিশ্চিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এর মধ্যেই তাদের গোয়েন্দা সহকর্মীরা একটি জটিল অভিযান সম্পন্ন করেছেন এবং সামি জসিমকে জীবিত ধরেছেন।’
অভিযানটি কবে, কখন, কোথায় হয়েছে, সেসব কিছু জানাননি কাদিমি। যদিও ইরাকের কোনো এক সীমান্ত এলাকায় আন্তর্জাতিক জোটের অভিযানে তিনি আটক হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে।
আইএসের কোষাগারের দায়িত্বে ছিলেন আটক সামি জসিম। তার বিষয়ে তথ্য দেয়ার জন্য বা তার অবস্থান জানাতে পারলে পুরষ্কার দেয়া হবে বলে বেশ কয়েকবার ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো এফবিআইয়ের রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস ওয়েবসাইটে জসিমের পূর্ণ নাম লেখা রয়েছে সামি জসিম মোহাম্মদ আল-জাবুরি, ওরফে হাজি হামিদ। ইরাকে আল-কায়েদার উত্তরসূরী সংগঠন সূত্রে জসিম আইএসের নেতৃস্থানীয় সদস্য হন বলেও গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়।
এফবিআই জানায়, ‘২০১৪ সালে ইরাকের মসুলে আইএসের উপপ্রধান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন জসিম। ছিলেন অর্থমন্ত্রী সমপর্যায়ের নেতা। তেল, গ্যাস, প্রাচীন শৈল্পিক নিদর্শন ও খনিজ সম্পদের অবৈধ বাণিজ্য থেকে আইএসের রাজস্ব দেখভাল করতেন তিনি।’
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে তাকে কালোতালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়।