আফগানিস্তানে শিয়া মসজিদে বোমা হামলায় অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত হওয়ার তিন দিন পর দেশটির হোটেলগুলোতে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে আফগানিস্তানের বিভিন্ন হোটেলে অবস্থানরত ব্যক্তিদের দ্রুত হোটেল ছাড়তে বলেছে পশ্চিমা ওই দুই দেশ।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে সোমবার এ বার্তা দেয়া হয় বলে এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
আফগানিস্তানে ‘নিরাপত্তা হুমকির’ কথা উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘কাবুলে সেরেনা হোটেল বা তার কাছে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের অবিলম্বে স্থান ত্যাগ করা উচিত।’
অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও উন্নয়ন কার্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আফগানিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় নাগরিকদের সেরেনা হোটেলসহ কাবুলের অন্যান্য হোটেল ছাড়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।’
চলতি বছরের আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর বেশির ভাগ বিদেশি দেশটি ছেড়ে চলে যায়। তবে রাজধানী কাবুলে এখনও কয়েকজন বিদেশি সাংবাদিক ও মানবিক সহায়তাকর্মী বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করছেন।
সুপরিচিত পাঁচ তারকা সেরেনা হোটেলে এর আগে তালেবান দুইবার হামলা চালায়।
আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কুন্দুজ প্রদেশে শুক্রবার জুমার নামাজের পর আত্মঘাতী বোমা হামলায় অর্ধশতাধিক মানুষ প্রাণ হারায়। নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) ওই হামলার দায় স্বীকার করে।
১৫ আগস্ট ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তানে ইসলামি আমিরাতের ঘোষণা দেয় তালেবান।
দেশটিতে চলমান অর্থনৈতিক সংকট নিরসন ও চরম মানবিক বিপর্যয় এড়াতে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে তালেবান। ক্ষমতা দখলের প্রায় দুই মাস অতিক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো দেশের স্বীকৃতি পায়নি তালেবানের নতুন সরকার।
কট্টর ইসলামপন্থি গোষ্ঠী থেকে রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হওয়া তালেবানকে ক্ষমতা দখলের পর আইএসের আফগান শাখার হুমকি সামলাতে হচ্ছে।
গত দুই মাসে আইএসের আফগান শাখা আইএস-খোরাসান আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে হামলা চালায়।