শারদীয় দুর্গাপূজার থিম হিসেবে ভারতের কৃষক আন্দোলনের ইতিহাস স্থান পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন মণ্ডপে।
ইতিহাসকে জীবন্ত করে তুলতে মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার করা হয়েছে জুতা ও চটি।
এ ঘটনায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ তুলে রোববার কলকাতা দমদম পার্ক ভারত চক্রের পূজা উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী।
মূলত, ভারতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কৃষকবিরোধী তিনটি কালো আইন বাতিলের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলন চলছে। এর মধ্যেই দুর্গাপূজার থিম হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন মণ্ডপে স্থান পেয়েছে আন্দোলনের সেই ইতিহাস।
এ ছাড়া একসময় শাসকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যারা ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল হয়ে আছেন, তাদেরও তুলে আনা হয়েছে সজ্জায়। সাম্প্রতিক সময়ে লখিমপুরে খেরির কৃষক হত্যার ঘটনাও স্থান পেয়েছে মণ্ডপে। পাশাপাশি সন্ন্যাসী আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলন, কুকা থেকে তিতুমীর, দেবী চৌধুরানী, ভবানী পাঠক সবাই জায়গা নিয়েছে মণ্ডপসজ্জায়।
আর বিভিন্ন প্রতিবাদকে জ্বলন্ত ফুটিয়ে তুলতে জুতা, চটি ব্যবহার করা হয়েছে। এ বিষয়টিকে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে বলে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। এ ঘটনা নেট মাধ্যমেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এ পরিপ্রেক্ষিতেই উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। পরে জুতা ও চটি সরিয়ে ফেলা হয়।
তবে ভারত চক্রের পূজা উদ্যোক্তারা এসব বিতর্ক নিয়ে ভাবতে নারাজ। পূজামণ্ডপের থিম শিল্পী অনির্বাণ দাস বলেন, ‘মায়ের মূর্তি যেখানে আছে, সেখানে মোটেই জুতা নেই। আর থিমের সঙ্গে জুতা, চটি এসব আনুষঙ্গিক। তাই তা একটি অংশে ব্যবহার করা হয়েছে।
‘মন্দিরের বাইরে জুতা খুলে মানুষ ভেতরে প্রবেশ করে। আর বাইরেই থাকে জুতার স্ট্যান্ড। এটি সাধারণ একটি ব্যাপার। এ নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। জুতা সরিয়ে ফেলার কোনো সিদ্ধান্ত আমরা নিচ্ছি না।’