চীনের কোনো ধরনের চাপের কাছে তাইওয়ান মাথা নত করবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। বরং গণতান্ত্রিক জীবনধারা রক্ষায় নিজেদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আরও সমৃদ্ধ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তাইওয়ানকে চীনের সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা অবশ্যই বাস্তবায়ন করা হবে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের এমন বক্তব্যের পরের দিনই এর পাল্টা দিলেন সাই।
নিজেদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আরও সমৃদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাই বলেন, ‘আমরা যত বেশি (প্রতিরক্ষা) সমৃদ্ধ করব, চীনের চাপ তত বেশি মোকাবিলা করতে পারব।’
তাইওয়ানের জনগণ মনে করে, তাদের দেশটি আলাদা সার্বভৌম রাষ্ট্র। কিন্তু এই ভূ-খণ্ডকে আলাদা দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে নারাজ চীন। তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া একটি প্রদেশ হিসেবে দেখে বেইজিং।
তাইওয়ানকে চীনের অধীনে আনতে নানা ধরনের সামরিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে চীন। সম্প্রতি দেশটির আকাশে বেশ কয়েকবার চীনের যুদ্ধবিমান উড়তে দেখা যায়।
এর মধ্যে ২ অক্টোবর চীনের ৩৮টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশে প্রবেশ করে। এর আগে এত বেশিসংখ্যক বিমান তাইওয়ানের উদ্দেশে পাঠায়নি বেইজিং। দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ের উত্তেজনা ৪০ বছরের মধ্যে চরমে পৌঁছেছে বলে দাবি করেছেন তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
এর মধ্যে চীনা বিপ্লবের ১১০তম বার্ষিকীতে শনিবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, মাতৃভূমিকে ফের একত্রিত করার যে ঐতিহাসিক কাজ তা অবশ্যই সম্পন্ন হবে। সেটি হবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে।
শির এমন বক্তব্যের জবাবে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে হুট করে তারা কিছু করবেন না। তাইওয়ানের জনগণ চাপের কাছে মাথা নত করবে, এমন কোনো মোহ কারও থাকা উচিত নয়।
সাই বলেন, ‘আমরা আমাদের জাতীয় প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সমৃদ্ধ করা অব্যাহত রাখব। নিজেদের রক্ষা করার আমাদের যে সংকল্প তা ধরে রাখব, যাতে করে চীনের পাতানো ফাঁদে কেউ আমাদের জোরপূর্বক ফেলতে না পারে।’