জঙ্গি হামলার আশঙ্কার কথা তুলে ধরে কলকাতাসহ রাজ্য পুলিশকে সতর্ক করেছে পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্র দপ্তর।
সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর লক্ষ্য থাকে কোন বড় উৎসব ও সমাবেশ। যেখানে একসঙ্গে প্রচুর মানুষের ভিড় থাকে। সেখানে নাশকতা ঘটাতে পারলে অনেক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ব্যাপক পরিচিতি পেয়ে থাকে জঙ্গি সংগঠন।
দশেরা এবং দুর্গাপূজায় সবচেয়ে বেশি মানুষের সমাগম হয়। এসময় নাশকতা ঘটালে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয়। আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে।
রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, ১২ থেকে ১৫ অক্টোবর দুর্গাপূজা ও দশেরা পালিত হবে। সেই সময় বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং জঙ্গি সংগঠনগুলো নাশকতা ঘটিয়ে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির বিপর্যয় ও অস্থিরতা তৈরি করতে পারে। তাই সর্বোচ্চ সর্তকাবস্থায় থাকতে হবে এবং নজরদারি জোরদার করতে হবে।’
নাশকতা বানচাল করতে নাগরিক সচেতনতা এবং পুলিশি নজরদারির ওপর বেশি জোর দিয়েছে প্রশাসন। রাজ্য সরকারের তরফে আগেই মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী পূজা কমিটিগুলোকে নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে পূজা করার নির্দেশনা পাঠিয়েছেন।
করোনা বিধি পালনের সঙ্গে পূজায় যুক্ত স্বেচ্ছাসেবকদের এবার নজরদারির বাড়তি দায়িত্ব পালনে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করতে বলা হয়েছে। কোনরকম সন্দেহজনক কিছু দেখলে, তার ওপর নজর রেখে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রাখতে বলা হয়েছে। বড় পূজাগুলোতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা থাকছে। ওয়াচ টাওয়ার থাকছে। ভিড় ও স্পর্শকাতর এলাকায় বাড়তি নজর থাকছে পুলিশ প্রশাসনের।
স্বরাষ্ট্র দপ্তরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দুর্গাপূজার বিসর্জন কেবলমাত্র ১৫, ১৬, ১৭ এবং ১৮ অক্টোবরেই করা যাবে। পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে দিন, সময় স্থির করতে বলা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ এলাকার ২৪টি ঘাট সহ মোট ৭০টি ঘাটে বিসর্জন হবে।
লালবাজার সূত্রে খবর, বিসর্জনের চারদিন সব ঘাটে দুই শিফটে পর্যাপ্ত বাহিনী থাকবে। সব ঘাটে ওয়াচ টাওয়ার, সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। থাকবে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। কোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে মোতায়েন থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ।
প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেরই মত, পূজার সময় জঙ্গি হানার সতর্কবার্তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা এর আগে কখনো পশ্চিমবঙ্গের মানুষ পূজার মরশুমে জঙ্গি হানার আশঙ্কার কথা শোনেনি। অবশ্য উৎসবমুখী রাজ্যগুলোকে এ ব্যাপারে কেন্দ্র আগে থেকেই সতর্ক বার্তা দিয়ে রেখেছে।