ইরানের সঙ্গে বৈশ্বিক পরাশক্তিগুলোর করা পরমাণু চুক্তি টিকিয়ে রাখতে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় শিগগিরই আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সমঝোতা বৈঠক শুরুর বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করছে ইরানের ওপর।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের কাছে আলোচনায় আগ্রহের কথা জানান।
কূটনৈতিক সমাধানের পথ খোলা থাকার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, তেহরান কতটা দ্রুত আগ্রহ দেখাচ্ছে, তার ওপর নির্ভর করছে ওয়াশিংটনের আলোচনার টেবিলে বসার বিষয়টি।
‘আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, আমরা প্রস্তুত আছি এবং আলোচনার টেবিলে দর-কষাকষি করার মতো সঙ্গী পাওয়া মাত্রই আমরা ভিয়েনায় ফিরতে পারব’, বলেন প্রাইস।
ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামে চুক্তিতে সই করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইরানের ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে। বিনিময়ে ইরান পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কমিয়ে দেবে।
এতে বিপত্তি তৈরি হয় ২০১৮ সালে। ওই বছর ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ’ নীতির অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে সরে যান। এর পরিপ্রেক্ষিতে চুক্তিতে নির্ধারিত মাত্রার বাইরে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে থাকে ইরান।
বারাক ওবামার আমলে হওয়া চুক্তিতে ফেরত যাওয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্পের উত্তরসূরি বাইডেন। এ নিয়ে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ছয় রাউন্ড পরোক্ষ আলোচনা হলেও চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার কোনো পথ তৈরি হয়নি।