বিশ্বের বৃহত্তম রেইনফরেস্ট আমাজন জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীর হিসেবে পরিচিত। এ বনে বসবাসরত আদিবাসীদের তাদের পূর্বপুরুষের জমিতে থাকতে দেয়া উচিত। এর মাধ্যমে বনটি রক্ষা পাবে, কারণ আদিবাসীরাই বনটির প্রকৃত প্রতিপালক।
ব্রাজিলের পরিবেশবাদীরা স্থানীয় সময় সোমবার আমাজনের ভবিষ্যৎবিষয়ক কনফারেন্সে এসব মন্তব্য করেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জায়ের বলসোনারোর কট্টর ডানপন্থি সরকার আমাজনের আদিবাসীদের ভূমির অধিকার কেড়ে নিচ্ছে বলে কনফারেন্সে বলেন পরিবেশবাদীরা।
পরিবেশবাদী সংগঠন আমাজন ওয়াচের নির্বাহী পরিচালক লেইলা সালাজার-লোপেজ বলেন, ‘আমাজনের আদিবাসী মানুষের অধিকার, তাদের জীবন ও ভূমির ওপর ক্রমাগত আক্রমণ চলছে।’
ব্রাজিলের আরেক পরিবেশবাদী সংগঠন রেইনফরেস্ট অ্যাকশন নেটওয়ার্কের নির্বাহী পরিচালক জিনজার ক্যাসেডি বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষার কথা বললেও বলসোনারো সরকারের বন উজাড় প্রকল্প থেমে নেই।’
২০১৯ সালে ব্রাজিলের ক্ষমতায় বসেন বলসোনারো। এর পর থেকে আমাজনে গাছ কাটা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে থাকে।
আদিবাসীদের ভূমি অধিকারের প্রতি সম্মান জানাতে ব্রাজিলের ব্যাংকসহ অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আমাজন ওয়াচ ও রেইনফরেস্ট অ্যাকশন নেটওয়ার্কের দুই শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা।
এ ছাড়া আমাজনে তেল উত্তোলন কার্যক্রমের সম্প্রসারণ বন্ধে বেসরকারি খাতের প্রতিও আহ্বান জানান সালাজার-লোপেজ ও ক্যাসেডি।
সালাজার-লোপেজ জানান, গবাদি পশুচারণ ও সয়াবিন চাষের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে বন কেটে উজাড় করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আদিবাসীরাই আমাজন বনের প্রকৃত রক্ষক। একই সঙ্গে আমাদের গ্রহের জীববৈচিত্র্য তারা সবচেয়ে ভালোভাবে দেখভাল করতে পারবে।
‘কারণ ভূমির সঙ্গে আদিবাসীদের সহজাত আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আদিবাসীদের কাছে ভূমিই সব।’
আমাজনের প্রায় ৩০ শতাংশ এলাকায় আদিবাসীদের বসবাস। ওই অঞ্চল সবচেয়ে বেশি সুরক্ষিত।