বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্যান্ডোরা পেপার্সে ৭০০ পাকিস্তানি, আছেন ইমরান ঘনিষ্ঠরাও

  •    
  • ৪ অক্টোবর, ২০২১ ১১:১৫

প্যান্ডোরা পেপার্সে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী শওকত তারিন, সিনেটর ফয়সাল ভাওদা, সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশাররফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগের (পিএমএল) নেতা চৌধুরী মুনিস ইলাহি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা শারজিল মেমন এবং শিল্পমন্ত্রী খুসরো বখতিয়ারের পরিবারের নাম রয়েছে।

বিশ্বের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের গোপন আর্থিক লেনদেন ও সম্পদের তথ্য ফাঁস করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে)।

সাড়ে ছয় শর বেশি সাংবাদিক প্যান্ডোরা পেপার্স নামে অফশোর কোম্পানির গোপন নথি রোববার ফাঁস করে।

এসব নথিতে পাকিস্তানের ৭০০ এর বেশি ক্ষমতাধর ব্যক্তির নাম রয়েছে বলে প্যান্ডোরা পেপার্সে উঠে আসে।

ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যান্ডোরা পেপার্সে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী শওকত তারিন, সিনেটর ফয়সাল ভাওদা, সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশাররফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগের (পিএমএল) নেতা চৌধুরী মুনিস ইলাহি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা শারজিল মেমন এবং শিল্পমন্ত্রী খুসরো বখতিয়ারের পরিবারের নাম রয়েছে।

এ ছাড়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা আব্দুল আলীম খান, আইটি প্রতিষ্ঠান এক্সাটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শোয়েব শেখসহ বেশ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাও আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।।

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দ্য নিউ ইন্টারন্যাশনালের অনুসন্ধানী সাংবাদিক উমর চীমা ও ফখর দুররানি আর্থিক কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক ওই অনুসন্ধানে অংশ নেন।

প্যান্ডোরা পেপার্সে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে আইসিআইজে। এর শিরোনাম ছিল “পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ‘নতুন পাকিস্তানের’ অঙ্গীকার করলেও তার কাছের জনেরা গোপনে কোটি কোটি ডলার দেশের বাইরে পাচার করেছে।”

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফাঁস হওয়া নথি জানায়, ইমরান খানের কয়েকজন মন্ত্রীসহ ঘনিষ্ঠ অন্যান্য ব্যক্তি ও তাদের পরিবার এবং প্রধান অর্থ সহায়তাকারীরা গোপনে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী হয়ে কোটি কোটি ডলার মূল্যের গোপন সম্পদের অধিকারী হন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘পাকিস্তানের সামরিক কর্মকর্তারাও এসব গোপন লেনদেনের সঙ্গে জড়িত।’

তবে ইমরান খানের নিজের অফশোর কোম্পানি রয়েছে, এমন কোনো তথ্য প্যান্ডোরা পেপার্সে উল্লেখ নেই।

আইসিআইজের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) শীর্ষ ডোনার আরিফ নাকবি যার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতারণা মামলা রয়েছে, তারও অবৈধ আর্থিক লেনদেন রয়েছে।

ইমরান খানের ২০১৩ সালের নির্বাচনি প্রচারে প্রধান অর্থদাতা ছিলেন নাকবি। তার বেশ কয়েকটি অফশোর কোম্পানির খোঁজ পেয়েছে আইসিআইজে।

আইসিআইজের অনুসন্ধান বলছে, পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী তারিন ও তার পরিবারের সদস্যদের চারটি অফশোর কোম্পানি রয়েছে।

আর্থিক উপদেষ্টা তারিক ফাওয়াদ মালিক ওই সব কোম্পানির লেনদেন দেখাশোনা করেন। সৌদি আরবের এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিলে ব্যাংকে বিনিয়োগেরও পরিকল্পনা রয়েছে অর্থমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের।

আইসিআইজের তথ্য মতে, ইমরানের শিল্পমন্ত্রী খুসরো বখতিয়ারের ভাই ওমর বখতিয়ার ২০১৮ সালে এক অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে এক মিলিয়ন ডলার স্থানান্তর করেন। ওই অর্থ দিয়ে তাদের মায়ের নামে লন্ডনের চেলসি এলাকায় অ্যাপার্টমেন্ট কেনা হয়।

প্যান্ডোরা পেপার্সে বলা হয়, পাকিস্তানের পানিসম্পদের সাবেক মন্ত্রী ফয়সাল ভাওদা ২০১২ সালে যুক্তরাজ্যে সম্পদ কিনতে একটি অফশোর কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।

আইসিআইজে আরও জানায়, ২০০৭ সালে লন্ডনে ১.২ মিলিয়ন ডলার মূল্যের একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট ভারতের এক প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতার ছেলের কাছ থেকে পাকিস্তানের সামরিক কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল শাফাত উল্লাহ শাহর স্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

জেনারেল শাফাত উল্লাহ পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।

প্যান্ডোরা পেপার্সে বলা হয়, ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা কে আসিফের ছেলে আকবর আসিফ একটি অফশোর কোম্পানির মালিক। ওই কোম্পানির মাধ্যমে জেনারেল শাহর স্ত্রীর কাছে ওই অ্যাপার্টমেন্টটি স্থানান্তর করা হয়।

এ ছাড়া পাকিস্তানের আরও বেশ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তার আর্থিক লেনদেনের তথ্য প্রকাশ করে প্যান্ডোরা পেপার্স।

এ বিভাগের আরো খবর