বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেয়েকে বাঁচাতে ছেলেকে বিক্রি

  •    
  • ৩ অক্টোবর, ২০২১ ১৯:৩৩

গত বছর থেকে লাইলুমার স্বামী নিখোঁজ। তিনি বলেন, ‘ছেলেকে বিক্রি করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না আমার। কেউ শখ করে নিজের সন্তানকে বিক্রি করতে চায় না।’

আফগানিস্তানে অভ্যন্তরীণ শরণার্থী এক নারী নিজের ১৩ বছর বয়সী অসুস্থ মেয়ের প্রাণ বাঁচাতে ছেলেকে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন।

টোলো নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, রোগাক্রান্ত মেয়ের চিকিৎসার খরচ জোগাড়ে এ ছাড়া উপায় ছিল না ওই মায়ের।

লাইলুমা নামের ওই নারী রাজধানী কাবুলে শরণার্থী হিসেবে বাস করছেন। বাঘলান প্রদেশে ভিটেমাটি ছেড়ে দুই সন্তানকে নিয়ে কাবুলের সড়কে তাঁবুতে ঘর বেঁধে থাকছিলেন তিনি।

লাইলুমা জানান, দেড় বছর বয়সী ছেলেকে ৩০ হাজার আফগানি মুদ্রায় বিক্রি করেছেন তিনি, যা ৩৩৫ ডলারের সমপরিমাণ।

গত বছর থেকে লাইলুমার স্বামী নিখোঁজ। তিনি বলেন, ‘ছেলেকে বিক্রি করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না আমার। কেউ শখ করে নিজের সন্তানকে বিক্রি করতে চায় না।’

এদিকে শীতের মৌসুম চলে আসায় কাবুলে শরণার্থী হিসেবে বসবাসরত মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে বলে জানিয়েছে অনেক গৃহহীন পরিবার। রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলে তাঁবুতে বাস করছে তারা। আবহাওয়া শীতল হতে থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু ও বয়স্করা।

কুন্দুজ থেকে কাবুলে আশ্রয় নেয়া নারী মারিয়া বলেন, ‘একটু বৃষ্টি হলেই সব ভিজে যায়। সন্তানরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আমরাও রাতে ঘুমাতে পারি না।’

শরণার্থীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে কোনো ধরনের সাহায্য পাচ্ছে না বলে জানিয়েছে আশ্রয়হীন পরিবারগুলো।

তাখার প্রদেশ থেকে কাবুলে আশ্রয় নেয়া আরেক নারী আয়েশা বলেন, ‘শরণার্থী মন্ত্রণালয়ের কর্মীরা এখানে এসেছিলেন। জরিপ করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা কোনো ধরনের সহায়তা পাইনি। এমন চলতে থাকলে এরপর না খেতে পেয়ে মরব আমরা।’

১৫ আগস্ট তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। তার আগে তালেবান আফগানিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চল দখল করতে শুরু করলেও কাবুল নিয়ন্ত্রণ করছিল সাবেক সরকার। সে সময় তালেবানের হাত থেকে বাঁচতে দেশের প্রায় সব প্রদেশ থেকে রাজধানীতে ভিড় করে লাখো আফগান।

এ বিভাগের আরো খবর