ইন্দোনেশিয়ার এক ব্যক্তি সম্প্রতি ‘বিয়ে’ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছেন।
প্রশ্ন উঠতে পারে, একজনের বিয়েতে এত আলোড়নের কী আছে? তিনি তো বিশ্বখ্যাত কেউ নন। চলচ্চিত্রের কোনো সুপারস্টারও নন। তা সত্ত্বেও সামাজিক মাধ্যমে তাকে ঘিরে এত আলাপ-আলোচনা কেন?
কারণ আর কিছুই নয়। খয়রুল আনাম নামের ওই ব্যক্তি কোনো নারীকে নয়, একটি রাইস কুকারকে ‘বিয়ে’ করেছেন।
ভাইস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০ সেপ্টেম্বর রাইস কুকারকে ‘বিয়ে’ করার পর এর ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন খয়রুল।
এক ছবিতে দেখা যায়, গলায় ফুলের মালা এবং মাথায় টুপি ও ‘বিয়ের’ পোশাক পরিহিত ‘বর’ খয়রুলের পাশে বসা মাথায় সাদা রঙের ঘোমটা দেয়া ‘কনে’ রাইস কুকার।
আরেক ছবিতে রাইস কুকারকে চুমু দেন খয়রুল।
এ ছাড়া পোস্ট করা অন্য দুই ছবিতে দেখা যায়, এক ব্যক্তির মুখোমুখি বসে আছেন খয়রুল। সামনে নিচু টেবিলে কাগজপত্র ছড়ানো। পাশে সেই রাইস কুকার। অন্য পাশে এক কিশোর বসা। আরেক ছবিতে খয়রুল কাগজে সই করছেন।
ছবিগুলো দেখে যা বোঝা যাচ্ছে তা হলো, খয়রুলের পাশে বসা ওই ব্যক্তি ‘বিয়ের রেজিস্ট্রার’। ওই কিশোর ‘বিয়ের সাক্ষী’। আর খয়রুল ‘আনুষ্ঠানিকতার’ একপর্যায়ে ‘বিয়ের’ কাগজপত্রে সই করেন।
ফেসবুকে ছবিগুলোর শিরোনামে খয়রুল জানান, বাধ্য, ভদ্র, স্নেহশীল ও রান্নাবান্না ভালো করায় রাইস কুকারটিকে ‘বিয়ে’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
খয়রুলের ‘বিয়ের’ ছবি ও বক্তব্য ব্যাপক বিনোদন দেয় ফেসবুক ব্যবহারকারীদের। তার ‘বিয়ের’ পোস্টে প্রায় আট হাজার মানুষ লাইক বা অট্টহাসির প্রতিক্রিয়া দেন। ১ হাজার ৩০০ মানুষ কমেন্ট করেন। আর পোস্টটি শেয়ার হয় প্রায় ১০ হাজারবার।
ফেসবুকে মানুষকে বিনোদন দিতে রাইস কুকারকে ‘বিয়ে’ করে মজা করেন খয়রুল।
অবশ্য ‘বিয়ের’ পর আরেকবার মানুষকে বিনোদন দেন তিনি। রাইস কুকার ‘বউকে বিয়ের’ চার দিনের মাথায় তালাক দেন তিনি।
খয়রুরেল অভিযোগ, এটি কেবল ভাত রান্না করতে পারে, আর কিছু রাঁধতে পারে না।
খয়রুরেল তালাকের কারণ শুনে ফের অট্টহাসিতে ফেটে পড়েন নেটিজেনরা।
ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, উদ্ভট ঠাট্টার মাধ্যমে বিনোদন দেয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ পরিচিত খয়রুল। তার ফলোয়ার সংখ্যাও কম নয়।
এবারও খয়রুলের ‘বিয়ে’ ও ‘তালাকের’ খবরে ব্যাপক মজা পান ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।