জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে জীবিত আটক হওয়া ‘পাকিস্তানি সন্ত্রাসী’ ২০ হাজার রুপির বিনিময়ে অস্ত্র নিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল। অস্ত্রের চালানটি পৌঁছে দেশে ফিরতে পারলে আরও ২০ হাজার রুপি দেয়া হতো তাকে।
ক্যামেরার সামনে এ দাবি করেছে ১৯ বছর বয়সী আত্মসমর্পণকারী আলী বাবর পত্র। তার স্বীকারোক্তিসমেত ভিডিওটি বুধবার প্রকাশ করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভিডিওতে জম্মু-কাশ্মীরের উরি সেক্টরের একটি আর্মি ক্যাম্পে সংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হতে দেখা যায় আলীকে।
সাংবাদিকদের সে জানায়, জম্মু-কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলার পাত্তানে অস্ত্র পৌঁছে দেয়ার কথা ছিল তার।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর ভাষ্য অনুযায়ী, আলী বাবর পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার সদস্য। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সে। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদের লস্কর ক্যাম্পে সে প্রশিক্ষণ নেয় এবং গত ১৮ সেপ্টেম্বর ছয়জনের একটি দলের সঙ্গে ভারতে অনুপ্রবেশ করে।
গত সোমবার অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ভারতীয় বাহিনীর অভিযান চলাকালীন আত্মসমর্পণ করে আলী। একই অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় তার এক সঙ্গী। বাকি চারজন পাকিস্তানে পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
সালামাবাদ নালা এলাকা হয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে তারা। ২০১৬ সালে উরিতে ভারতীয় বাহিনীর সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানো সন্ত্রাসীরাও এ পথেই ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল। ওই হামলায় নিহত হয় ১৯ ভারতীয় সেনা।
হামলার কিছুদিন পরই নিয়ন্ত্রণরেখা এলাকায় সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি ধ্বংসে কয়েক দফা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারত।
কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা এলাকায় গত কয়েক বছরের মধ্যে নজিরবিহীন এ অভিযানে জীবিত আটক একমাত্র পাকিস্তানি ‘সন্ত্রাসী’ আলী বাবর।
কাশ্মীর হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার ঘটনা সম্প্রতি বেড়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সীমান্তে গত সাত দিনে সাত অনুপ্রবেশকারীকে হত্যার কথাও জানিয়েছে ভারতীয় সেনারা।