বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাপানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে, জানা যাবে আজ

  •    
  • ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১২:০৯

প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে এগিয়ে আছেন দুই পুরুষ রাজনীতিক। একজন দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মধ্যপন্থি নেতা ফুমিও কিশিদা, অপরজন টিকা বণ্টনবিষয়ক প্রধান তারো কোনো। গত বছর দলীয় নির্বাচনে ইয়োশিহিদে সুগার বিপরীতে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ফুমিও কিশিদা। ওই নির্বাচনে সুগার কাছে পরাজিত হন তিনি। অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ব্যাপক সক্রিয় তারো কোনো করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে দেশটির অন্যতম আলোচিত ও স্বীকৃত রাজনীতিবিদ হয়ে উঠেছেন।

জাপানে ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) দলপ্রধান নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আজ। বুধবারের ভোটের ফলই বলে দেবে, কে হতে যাচ্ছেন দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।

বর্তমান দলপ্রধান ও দেশের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা পুনঃনির্বাচন করছেন না। দলীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার ফলে এর মধ্য দিয়েই জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে অসুস্থতাজনিত কারণে পদত্যাগ করার পর গত বছরই তার স্থলাভিষিক্ত হন সুগা।

বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে ফ্রান্স টোয়েন্টিফোরের প্রতিবেদনে বলা হয়, দলীয় নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীকে কয়েকদিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনুমোদন দেবে ক্ষমতাসীন এলডিপি সংখ্যাগরিষ্ঠ পার্লামেন্ট। এরপর দেশটিতে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনেও পুনরায় ক্ষমতায় আসার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী এলডিপি।

বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ অর্থনীতির দেশ জাপানের পরবর্তী সরকারপ্রধান নির্বাচনের লড়াই অন্যান্যবারের তুলনায় এবার খানিকটা জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মূল কারণ, এলডিপির প্রভাবশালী অংশের বেশিরভাগ নেতাই এবার সুনির্দিষ্ট কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেননি। ফলে সদস্যরা নতুন দলপ্রধান নির্বাচনে নিজেদের পছন্দমতো ভোট দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন এবার।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চারজন। দুইজন নারী ও দুইজন পুরুষ। এদিক থেকেও এবারের ভোট কিছুটা ব্যতিক্রমী। কারণ জাপানের ইতিহাসে আজ পর্যন্ত কোনো নারী প্রধানমন্ত্রী হননি। দেশটির রাজনীতিতেও উল্লেখযোগ্য নারী চরিত্রের সংখ্যা হাতেগোনা।

এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে এগিয়ে আছেন মূলত দুই পুরুষ রাজনীতিক। একজন দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মধ্যপন্থি নেতা ফুমিও কিশিদা, অপরজন টিকা বণ্টনবিষয়ক প্রধান তারো কোনো।

গত বছর দলীয় নির্বাচনে ইয়োশিহিদে সুগার বিপরীতে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ফুমিও কিশিদা। ওই নির্বাচনে সুগার কাছে পরাজিত হন তিনি। অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ব্যাপক সক্রিয় তারো কোনো করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে দেশটির অন্যতম আলোচিত ও স্বীকৃত রাজনীতিবিদ হয়ে উঠেছেন।

এই দুই নেতার প্রতিদ্বন্দ্বী দুই নারী রাজনীতিকের একজন ডানপন্থি সানায় তাকাইচি, অপরজন জেন্ডারবিষয়ক সাবেক মন্ত্রী ও নারীবাদী হিসেবে পরিচিত সেইকো নোদা। তারা প্রথম দফার ভোট পার হতে পারবেন না বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রাজধানী টোকিওর স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যার প্রাথমিক ভোটে অংশ নেবেন এলডিপির ৩৮২ জন আইনপ্রণেতা এবং দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের একই সংখ্যক সদস্য।

চার প্রার্থীর একজনও সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে শীর্ষ ভোট পাওয়া দুই নেতাকে নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ভোট গড়াবে দ্বিতীয় দফায়। ওই ভোটে অংশ নেবেন ৩৮২ জন আইনপ্রণেতা এবং জাপানের ৪৭টি অঞ্চলের প্রতিটির একজন করে দলীয় প্রতিনিধি।

তারো কোনো বনাম ফুমিও কিশিদা লড়াই

প্রশাসনিক সংস্কারবিষয়ক মন্ত্রী তারো কোনো জাপানের জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়। ফলে দলের মধ্যেও তার বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। সাবেক প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোনো অনেক বছর ধরেই সম্ভাব্য দলপ্রধানের তালিকায় আছেন।

তারো কোনো জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগে বিশ্বাস করেন, জাপানের অন্যান্য রাজনীতিবিদ যে বিষয়টি বেশ সতর্কতার সঙ্গেই এড়িয়ে চলেন। জাপানি ভাষার টুইটার অ্যাকাউন্টে তার অনুসারীর সংখ্যা ২০ লাখের বেশি।

কিন্তু সাংঘর্ষিক নেতা হিসেবে সমালোচনাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ আছে, আমলাদের নিয়ে ইচ্ছেমতো মন্তব্য করেন তিনি এবং টুইটারে মানুষজনকে ব্লক করে দেন।

তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ফুমিও কিশিদা জাপানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও এলডিপির নীতিমালাবিষয়ক প্রধান। প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি মহামারির মধ্যে প্রণোদনা বাড়াবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

মহামারি ইস্যুতে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী সুগার বিরুদ্ধে যে জনরোষ রয়েছে, সেটিকেই হাতিয়ার করেছেন কিশিদা। সুগার বিরুদ্ধে মহামারি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগে এলডিপি সরকারের জনপ্রিয়তা রেকর্ড সর্বনিম্নে রয়েছে।

মনোযোগী শ্রোতা হিসেবে নিজের দক্ষতার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি, নাগরিকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন নিজ নিজ অনুরোধ ও প্রস্তাব তাকে জানানোর জন্য। মানুষের মতামত মনে রাখতে বিভিন্ন প্রচারে পরামর্শ বাক্স আর নোটবুক নিয়েও হাজির হতেন তিনি।

হিরোশিমার রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী পরিবারের ছেলে কিশিদা গত বছর সুগার বিপরীতে পরাজয়ের বিষয়ে জানান, ওই অভিজ্ঞতা আরও শক্তিশালী ও দৃঢ়প্রত্যয়ী করে তুলেছে তাকে।

শেষ পর্যন্ত জয় যারই হোক না কেন, মহামারিপরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধার থেকে শুরু করে প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়া ও চীনের কারণে সৃষ্ট নিরাপত্তা ঝুঁকি পর্যন্ত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে।

এ বিভাগের আরো খবর