বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘গুলাব’ মোকাবিলায় প্রস্তুত পশ্চিমবঙ্গ

  •    
  • ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১১:৫৫

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, গুলাবের প্রভাবে মঙ্গল ও বুধবার পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলার সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে মেদিনীপুর, ২৪ পরগনাসহ হাওড়া এবং হুগলিতে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।

ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’। ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার গতি নিয়ে রোববার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ কলিঙ্গপত্তম এলাকা দিয়ে প্রবেশ করে।

পশ্চিমবঙ্গের ওপর এর প্রভাব সরাসরি না পড়লেও ওড়িশার পাশে অবস্থানের কারণে রাজ্যটির সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় গুলাবের প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া দপ্তর। তাই ঝড় মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে রাজ্য সরকার।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, গুলাবের প্রভাবে মঙ্গল ও বুধবার পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলার সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে মেদিনীপুর, ২৪ পরগনাসহ হাওড়া ও হুগলিতে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।

সূত্রটি আরও জানায়, ঘূর্ণিঝড় শেষে ঘূর্ণাবর্তটি নিম্নচাপ আকারে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়বে। ঝড়ের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। এ কারণে উপকূলবর্তী অঞ্চলে সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে।

গুলাবের কারণে বুধবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। উপকূল অঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সব পঞ্চায়েতকে শুকনা খাবার ও পানি মজুত করতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া পর্যটকদের দীঘা ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হয়েছে। হোটেলগুলোকেও খালি করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা সমুদ্র উপকূল অঞ্চল নজরদারিতে রাখছেন।

গুলাব মোকাবিলায় কলকাতার রাজ্য সচিবালয় নবান্নসহ জেলা, থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সতর্ক থাকছেন দমকল বাহিনী ও কলকাতা করপোরেশনের সদস্যরা। ঝড়ের কারণে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যের সব সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুলাব মোকাবিলায় প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। জমে থাকা পানি থেকে যেন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে, তার জন্য ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি প্রয়োজন মতো বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় গুলাবের কারণে আগেই রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে ২৮টি রেল চলাচল বাতিলসহ একাধিক রেলের যাত্রাপথ ঘুরিয়ে চলাচলের নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।

এ বিভাগের আরো খবর